স্ত্রীর কাছ থেকে মেয়েকে নিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ
Published: 7th, May 2025 GMT
পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর কাছ থেকে আট মাসের মেয়েকে নিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মেয়েকে ফিরে পেতে আদালত ও পুলিশের দ্বারে দ্বাীরে ঘুরছেন মা পপি বেগম। আদালত শিশুটিকে খুঁজে দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর পুলিশ বলছে, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনাটি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতী ইউনিয়নের রামপাশা গ্রামের। শিশুটিকে ফিরে পেতে ফরিদপুরের এক নম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৯ ডিসেম্বর মামলা করেন শিশুর মা পপি বেগম। ওই মামলায় স্বামী কাইয়ুম বিশ্বাস, তাঁর তিন বোন মিতা আক্তার, বুলি বেগম, সাগরী আক্তারসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
সরদারের মেয়ে পপি বেগমের সঙ্গে পাশের ফরিদপুরের নগরকান্দার রামপাশা গ্রামের মানিক বিশ্বাসের ছেলে কাইয়ুম বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা বিষয়ে তাঁদের পারিবারিক কলহ চলছিল। তাঁদের একটি মেয়েশিশু হয়। পাঁচ মাস আগে কলহের জের ধরে পপি বেগমকে তালাক দেন কাইয়ুম।
পপি বেগমের ভাষ্য, তালাকের সময় জোর করে মেয়েকে রেখে দেন কাইয়ুম। পরে মেয়েকে নগরকান্দার শাখরাইল গ্রামের কহিনুর বেগমের কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এই বিক্রির মধ্যস্থতা করেন নগরকান্দার দলিল লেখক আলমগীর তালুকদার। কান্নাজড়িত কণ্ঠে পপি বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চাডারে দেখবার জন্য রাতে ঘুম হয় না, খাবার পারি না। আমার কলিজাডা শুকায় গেছে। যার কাছে বাচ্চা বিক্রি করা হয়েছে, তার মায়ের পা পর্যন্ত জড়ায় ধরছি, তবুও দেখতে দেয় নাই।’
এ–সংক্রান্ত মামলা হওয়ার পর থেকে শিশুটির বাবা কাইয়ুম বিশ্বাস আত্মগোপনে আছেন। তবে কাইয়ুমের বোন মিতা আক্তারের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে কল করা হলে একজন কলটি ধরে মিতার স্বামী পরিচয় দেন এবং ব্যস্ত আছেন বলে কেটে দেন।
এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ সফর আলী বলেন, ‘আদালত আমাদের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ চলছে। কিন্তু অভিযোগে বাচ্চাটি বিক্রির যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটিকে খুঁজে পেলে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নগরক ন দ
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর কাছ থেকে মেয়েকে নিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ
পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর কাছ থেকে আট মাসের মেয়েকে নিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মেয়েকে ফিরে পেতে আদালত ও পুলিশের দ্বারে দ্বাীরে ঘুরছেন মা পপি বেগম। আদালত শিশুটিকে খুঁজে দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর পুলিশ বলছে, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনাটি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতী ইউনিয়নের রামপাশা গ্রামের। শিশুটিকে ফিরে পেতে ফরিদপুরের এক নম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৯ ডিসেম্বর মামলা করেন শিশুর মা পপি বেগম। ওই মামলায় স্বামী কাইয়ুম বিশ্বাস, তাঁর তিন বোন মিতা আক্তার, বুলি বেগম, সাগরী আক্তারসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
সরদারের মেয়ে পপি বেগমের সঙ্গে পাশের ফরিদপুরের নগরকান্দার রামপাশা গ্রামের মানিক বিশ্বাসের ছেলে কাইয়ুম বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা বিষয়ে তাঁদের পারিবারিক কলহ চলছিল। তাঁদের একটি মেয়েশিশু হয়। পাঁচ মাস আগে কলহের জের ধরে পপি বেগমকে তালাক দেন কাইয়ুম।
পপি বেগমের ভাষ্য, তালাকের সময় জোর করে মেয়েকে রেখে দেন কাইয়ুম। পরে মেয়েকে নগরকান্দার শাখরাইল গ্রামের কহিনুর বেগমের কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এই বিক্রির মধ্যস্থতা করেন নগরকান্দার দলিল লেখক আলমগীর তালুকদার। কান্নাজড়িত কণ্ঠে পপি বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চাডারে দেখবার জন্য রাতে ঘুম হয় না, খাবার পারি না। আমার কলিজাডা শুকায় গেছে। যার কাছে বাচ্চা বিক্রি করা হয়েছে, তার মায়ের পা পর্যন্ত জড়ায় ধরছি, তবুও দেখতে দেয় নাই।’
এ–সংক্রান্ত মামলা হওয়ার পর থেকে শিশুটির বাবা কাইয়ুম বিশ্বাস আত্মগোপনে আছেন। তবে কাইয়ুমের বোন মিতা আক্তারের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে কল করা হলে একজন কলটি ধরে মিতার স্বামী পরিচয় দেন এবং ব্যস্ত আছেন বলে কেটে দেন।
এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ সফর আলী বলেন, ‘আদালত আমাদের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ চলছে। কিন্তু অভিযোগে বাচ্চাটি বিক্রির যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটিকে খুঁজে পেলে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’