এক দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের পর এবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৬ মে) উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এজন্য প্রশাসনিক দপ্তরগুলোতে বুধবার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ গ্রাউন্ড ফ্লোরের সামনে ঘোরাঘুরি করে তারা বাসায় ফিরে যান।

আরো পড়ুন:

ববি উপাচার্যের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় ৩ মাস ধরে আটকে আছে পরীক্ষা

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ববির প্রশাসনিক ভবনে তালা

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি পুরণ না হওয়ায় তৃতীয় দিনের মতো এক দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ অথবা অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম সুজয় শুভ বলেন, “এ মুহূর্তে বেশিরভাগ বিভাগের পরীক্ষা চলমান। এ কারণে অনেকেই আন্দোলনে আসতে পারছে না। কিন্তু সব সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আর আমরা যারা আন্দোলনে রয়েছি, তারা একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো ধরনের বাধা দিতে পারি না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা শেষ করে প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচিসহ উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হচ্ছেন।”

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই এ আন্দোলন থেকে সরে যাব না। উপাচার্যের পদত্যাগই আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠানোর একমাত্র পথ।”

ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল উপ চ র য র পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

অশ্রু আর ভালোবাসায় মামুন রেজাকে চিরবিদায়

অশ্রু আর ভালোবাসায় সমকালের ব্যুরো প্রধান মামুন রেজাকে চিরবিদায় দিয়েছেন তার সহকর্মী ও গ্রামবাসী। শনিবার জোহরের নামাজের পর খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ব্রহ্মগাতী সুতীরকূল ঈদগাহ ময়দানে তার দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মামুন রেজার বাবা ও ছোট্ট ছেলের চোখের পানি ও হাহাকার দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সবাই। জানাযা শেষে ব্রহ্মগাতী গ্রামের সরদার বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। খুলনাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানাযা ও দাফনে অংশ নেন। 

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা সদরের তারের পুকুর মোড় এলাকার বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মামুন রেজা। তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। মামুন রেজা চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের খুলনার আঞ্চলিক প্রধান প্রতিবেদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। চারবার খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ছিলেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের দু’বারের সভাপতি। তার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে খুলনার সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতাল ও বাসভবনে ছুটে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাত ১২টা ১৫ মিনিটে আল হেরা জামে মসজিদের সামনে প্রথম জানাযায় শত শত মানুষ অংশ নেন। সবার চোখে মুখে ছিল বিষ্ময় ও অকালে প্রিয়জন হারানো বেদনা। জানাযা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় খুলনা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে শেষ শুভেচ্ছা জানানো হয়। 

রাতেই মরদেহ গ্রামের বাড়ি দিঘলিয়া উপজেলার ব্রহ্মগাতী গ্রামে নিয়ে যান স্বজনরা। শনিবার সকাল থেকেই মামুনকে শেষ বারের মতো দেখতে ভিড় জমান গ্রামের মানুষ। সবার মুখেই ছিল মামুনের পরোপকারী স্বভাবের বন্দনা।

সমকালের প্রধান কার্যালয় থেকে সহযোগী সম্পাদক হকিকত জাহান হকি, অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, চ্যানেল ২৪ এর ঢাকা অফিস থেকে জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম তুহিন, ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ নাদিম হোসাইন, সহযোগী বার্তা সম্পাদক তানিম রহমান, খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জেলা প্রতিনিধিরা পরিবারকে সান্ত্বনা জানাতে ছুটে যান।
 
এ সময় তারা মামুন রেজার একমাত্র সন্তান চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জাওয়াদ রেজার লেখাপড়ায় সব ধরনের সহযোগিতা এবং সব সময় পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আগামী ২৫ জুন সমকাল ও চ্যানেল ২৪ পরিবার খুলনার উদ্যোগে খুলনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে মিছিল নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের বিদেশফেরতপ্রবাসীরা
  • অশ্রু আর ভালোবাসায় মামুন রেজাকে চিরবিদায়
  • শাহরুখের বাড়ি মান্নাতে সত্যিই কি অবৈধ নির্মাণকাজ চলছে