সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেনের আয়োজনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতীদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মরহুম রুবেল হোসেনের ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জে বাঘমারাস্থ ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, যুগ্ম-সম্পাদক আল-আমিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সুজন, অর্থ-সম্পাদক আব্দুল আজিজ, প্রচার সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ডেমরা ৬৭নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক শামীম গাজী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রনি, ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ফাহিম, সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রাফি হওলাদার, ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা শুভ, রনি, লাদেন, সরকারি তুলারাম কলেজ ছাত্রদল নেতা সুজন, আরো অনেকে।

দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুফতি নজরুল ইসলাম বেলালী।

এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন বলেন, ২০১৩ সালে হেফাজত ইসলামের আন্দোলনের সময় রুবেলসহ অনেক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী গুলিবৃন্ধ হয়ে মারা যান। যারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের কে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে যারা এই এলাকার আওয়ামীলীগের দোসর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামী, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের কে গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

প্রশাসনের প্রতি আমি আরো আহ্বান জানাবো আমাদের এই ৩নং ওয়র্ডের অনেক জায়গায় মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বিক্রি করছে তাদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।

এই এলাকা কে মাদক মুক্ত করতে হবে, আজকে মরহুম রুবেলে মৃত্যু বার্ষিকী। মরহুম রুবেল মাদকের বিরুদ্ধে অনেক সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। 

আকবর হোসেন আরো বলেন, আমাদের নেতা নারায়ণগঞ্জ ৪-আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে আমাদের এই এলাকায় সুন্দর প্ররিবেশ তৈরি করেছি, কেহু যেন এই সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখবেন।

আলোচনা সভা শেষে মরহুম রুবেলের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন মরহ ম র ব ল ছ ত রদল ব এনপ র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আদালতে চুপ মমতাজ, হাসিমুখে ছিলেন সাবেক এমপি তুহিন

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি মমতাজ বেগম ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাবিনা আক্তার তুহিনকে আজ সোমবার পৃথক মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এসময় দেখা যায় আদালতে চুপচাপ ছিলেন মমতাজ আর হাসিমুখে ছিলেন সাবেক এমপি তুহিন। আদালতে সাবিনা আক্তার তুহিন কয়েকবার মমতাজ বেগমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাতে তিনি সাড়া দেননি।

পরে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার শাওন হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমকে আদালতে তোলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

মমতাজের মামলার সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর কোতোয়ালি থানার তাঁতীবাজার মোড়ে আন্দোলনে অংশ নেন শাওন মুফতি (২৩)। এদিন রাত সাড়ে ১১টায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা মাকসুদা বেগম গত ২৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় মমতাজ ১৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

এদিন সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয় সাবেক এমপি মমতাজ বেগমকে। মুখে মাস্ক, হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। কাঠগড়ায় উঠানোর পর পুলিশ হেলমেট জ্যাকেট ও হাতকড়া খুলে দেন। এসময় তিনি মুখ থেকে মাস্ক খুলে রাখেন। এরপর তিনি তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। বিচারক ১০টা ৩৮ মিনিটে এজলাসে আসলে সবাই চুপ থাকেন। মামলার শুনানি শুরু হলে মমতাজ বেগম নিশ্চুপ হয়ে শুনানি শুনছিলেন। 

এদিন শুনানি চলাকালে সাবেক এমপি তুহিন মমতাজের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি কোনো কথা বলেননি। এদিন শুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নেও কোনো উত্তর দেননি মমতাজ। আদালতে শুনানি চলাকালীন সময়েও তিনি কোনো কথা বলেনি। এদিন তাকে বেশ বিমর্ষ দেখা যায়। 

অন্যদিকে হাসিমুখে ছিলেন সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন। তিনি আদালতকে বলেন, আমার ওষুধ শেষ হয়ে গেছে ওষুধ প্রয়োজন। 

আদালত চলাকালে তুহিনের শুনানির সময় তার আইনজীবী হোসেন শাহিন ওষুধ দেখিয়ে আদালতকে বলেন, উনার ওষুধ প্রয়োজন এগুলো দিতে হবে। 
এসময় বিচারক বলেন, এখান থেকে ওষুধ দেওয়ার নিয়ম নেই। যথাযথ নিয়মে ওষুধ নিবেন। বাইরে থেকে দেওয়া যাবে না। 

এসময় শুনানিতে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে তুহিন হাসি দিয়ে মাথা নাড়াতে থাকেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী যখন শুনানিতে কথা বলেন তখন তিনি মুচকি হাসি দেন এবং আগ্রহ সহকারে পিপির কথা শুনতে থাকেন। 

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাবেক এমপি তুহিনের উদ্দেশ্যে বলেন, সে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। বিভিন্ন মিটিং মিছিলসহ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণও পাওয়া গেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য তার পরবর্তী রিমান্ড প্রয়োজন।

এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী হোসেন শাহিন আদালতকে বলেন, একটা অনুমানের ওপর নির্ভর করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া রিমান্ড চাইতে পারে না। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। এটা আইন লঙ্ঘন। তিনি বলেন, একজন পার্লামেন্ট সদস্যের কাছে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি সুসমন্নিত থাকে। ভাবমূর্তি বিপন্ন হয় না। আমরা রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চাই। 
 
এর উত্তরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুকী বলেন, বিনা ভোটের পার্লামেন্ট মেম্বার তিনি। তার পক্ষে এত বলার কিছু নেই। সাবেক সিইসি যখন বলেছেন যে এটা ডামি নির্বাচন। সেখানে বিনা ভোটের পার্লামেন্ট মেম্বার ও শেখ হাসিনার সহচরকে এত ভালো প্রমাণের যৌক্তিকতা নেই। 

এদিন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জুলাই আন্দোলনে হত্যা মামলায় শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এসময় আদালত শেষে গারদে প্রবেশকালে সাংবাদিকদের তুহিন বলেন, ‘জয় বাংলা বলা কি অপরাধ? বিশ্ববাসীর কাছে বিচার চাই।’

এর আগে গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

এক দিনের রিমান্ডে মুরাদ

এদিন একই সঙ্গে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

শাহে আলমের মুরাদের বিরুদ্ধে মোতালেব হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চালের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ
  • ৭.৬৫ বোরের আগ্নেয়াস্ত্রসহ তরুণ গ্রেপ্তার
  • লায়ন কুতুব উদ্দিন আকসিরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ
  • আহমেদ আকবর সোবহানকে দুদকে তলব
  • আদালতে চুপ মমতাজ, হাসিমুখে ছিলেন সাবেক এমপি তুহিন
  • আহমেদ আকবর ও স্ত্রীসহ তারিক আহমেদ সিদ্দিককে তলব করেছে দুদক
  • আহমেদ আকবর সোবহান ও তারিক আহমেদ সিদ্দিককে দুদকে তলব
  • ফতুল্লায় এক পোশাক কারখানার শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ হলো ৮ কারখানা
  • ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ পেলেন ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের পদ
  • চট্টগ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলেন লোকজন