রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে নারী  পুলিশ সার্জেন্টের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

ডিএমপি জানিয়েছে, বুধবার (৭ মে) বিকেলে রাজধানীর লালবাগ থানাধীন আজিমপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে শুভ ও অভি নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

এক নারী সার্জেন্ট হেলমেট ছাড়াই মোটরসাইকেল চালানোর কারণে চালক শুভকে সিগন্যাল দিয়ে থামান এবং তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু, শুভ ও মোটরসাইকেলের আরোহী অভি কাগজপত্র না দেখিয়ে সার্জেন্টের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং সার্জেন্টকে তাদের সঙ্গে হলে গিয়ে কাগজপত্র আনতে বলেন। ওই নারী সার্জেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি লালবাগ বিভাগের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানকে জানান। ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেন এবং লালবাগ থানার সহায়তায় তাদের থানা হাজতে পাঠান। পরে নারী সার্জেন্ট ও সাক্ষীদের উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে শুভ ও অভিকে এক দিনের কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন ম্যাজিস্ট্রেট। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকা/এমআর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মিষ্টির কারখানার পাশেই গোবরের স্তূপ, জরিমানা ৭০ হাজার

বিশাল গরুর খামারে গোবরের স্তূপ। খামার ঘেঁষেই মিষ্টিজাত পণ্য তৈরির কারখানা। নেই কোনো বেড়া বা ঢাকনার ব্যবস্থা। মশা, মাছি ও পোকা-মাকড় ভনভন করছে। উড়ে বেড়াচ্ছে পাখি।

লাইসেন্স ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই প্রায় দুই বছর ধরে চলছে কারখানাটি। অবশেষে সেখানে অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দয়রামপুর ঘোষপাড়া এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার অ্যান্ড বেকারিতে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াসিন আরাফাত ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ফারুক হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। 

কারখানার ব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেছেন, “আমাদের ভুল হয়েছে। খুব শিগগির সংশোধন করা হবে।”

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী বলেছেন, “যেন গরুর খামারেই তৈরি হচ্ছে মিষ্টিজাত পণ্য। এখানে পশু-পাখির অভয়ারণ্য ও অবাধ বিচরণ। কোনো বৈধতা নেই। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ এবং কাগজপত্রাদি না থাকায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগির কারখানাটি বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম।

ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপের সঙ্গে খণ্ডকালীন চাকরিসহ নানা সুবিধা
  • গরুর খামার লাগোয়া মিষ্টির কারখানা, জরিমানা
  • মিষ্টির কারখানার পাশেই গোবরের স্তূপ, জরিমানা ৭০ হাজার