রাজধানীর আজিমপুরে ট্রাফিকে দায়িত্বরত নারী পুলিশ সার্জেন্টের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে এক দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তাঁরা হলেন মোটরসাইকেলের চালক শুভ ও তাঁর সঙ্গী অভি। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগের দিন বিকেলে আজিমপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালানোয় শুভকে সংকেত দিয়ে থামান কর্তব্যরত নারী সার্জেন্ট। এ সময় ওই সার্জেন্ট তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু শুভ ও অভি কাগজপত্র না দেখিয়ে ওই সার্জেন্টের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁকে হলে গিয়ে কাগজপত্র আনতে বলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি নারী সার্জেন্ট তাৎক্ষণিক লালবাগ বিভাগের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানকে জানান। ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেন এবং লালবাগ থানার সহায়তায় তাঁদের থানাহাজতে পাঠান।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নারী সার্জেন্ট ও সাক্ষীদের উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে শুভ ও অভিকে এক দিনের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাঁদের আরও সাত দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মিষ্টির কারখানার পাশেই গোবরের স্তূপ, জরিমানা ৭০ হাজার

বিশাল গরুর খামারে গোবরের স্তূপ। খামার ঘেঁষেই মিষ্টিজাত পণ্য তৈরির কারখানা। নেই কোনো বেড়া বা ঢাকনার ব্যবস্থা। মশা, মাছি ও পোকা-মাকড় ভনভন করছে। উড়ে বেড়াচ্ছে পাখি।

লাইসেন্স ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই প্রায় দুই বছর ধরে চলছে কারখানাটি। অবশেষে সেখানে অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দয়রামপুর ঘোষপাড়া এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার অ্যান্ড বেকারিতে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াসিন আরাফাত ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ফারুক হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। 

কারখানার ব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেছেন, “আমাদের ভুল হয়েছে। খুব শিগগির সংশোধন করা হবে।”

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী বলেছেন, “যেন গরুর খামারেই তৈরি হচ্ছে মিষ্টিজাত পণ্য। এখানে পশু-পাখির অভয়ারণ্য ও অবাধ বিচরণ। কোনো বৈধতা নেই। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ এবং কাগজপত্রাদি না থাকায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগির কারখানাটি বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম।

ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপের সঙ্গে খণ্ডকালীন চাকরিসহ নানা সুবিধা
  • গরুর খামার লাগোয়া মিষ্টির কারখানা, জরিমানা
  • মিষ্টির কারখানার পাশেই গোবরের স্তূপ, জরিমানা ৭০ হাজার