সাংবাদিকদের পেনশন ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিতসহ ১৬ দফা দাবি
Published: 8th, May 2025 GMT
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও বেতনকাঠামো এবং সাংবাদিকদের জন্য পেনশন ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিতসহ ১৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস–২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনার থেকে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাছে এসব দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম সংস্কার: সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজন করে জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সদস্যসচিব মো.
সেমিনারে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ এবং সংবাদপত্রগুলোর মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এই দুটি সংগঠন হলো এলিটদের সংগঠন। আর আমরা হলাম অচ্ছুত। আমাদের ইসলামপন্থী পত্রিকা হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশে ইসলামপন্থী হওয়া তো অপরাধ, অন্তত মিডিয়াতে তো বড় অপরাধ।’
বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ইতিহাস কখনোই সুখকর ছিল না উল্লেখ করে দ্য ডেইলি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বলেন, পাকিস্তানি আমলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাজুক ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর অনেক সাংবাদিক চাকরি হারান। একানব্বই থেকে ছিয়ানব্বই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় ছিল।
সংবাদপত্রশিল্পের স্থিরতা দরকার উল্লেখ করে শামসুল হক জাহিদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, সেটা বাস্তবায়িত হলে নামসর্বস্ব অনেক সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এই শিল্পে একটা সুস্থির পরিবেশ আনতে হলে সংস্কার বাস্তবায়ন জরুরি। রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের সঙ্গে এটা জড়িত।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহসভাপতি গাজী আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসানের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান প্রতিবেদক (বাংলা) মো. দিদারুল আলম।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স ব ধ নত স ব দপত র স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
সবার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত না করলে সংকট আসবে: সরকারকে মান্না
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, কোনোরকম পক্ষপাত করবেন না। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করাই হবে এই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নইলে নানা রকম সংকট আসবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মহান মে দিবস ও প্রাসঙ্গিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন মনে করিয়ে দিয়েছিল, এবার বদলাতে হবে। কিন্তু কেউ মনে করছে, এই সরকার কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করতে পারবে, কেউ মনে করছে– কিছুই হবে না। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশের আচরণ আগের মতো। সচিবালয়ে এখনও স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের দাপট চলছে। গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান লতিফুর রহমান এসেই ছয় ঘণ্টায় প্রশাসন রদবদল করেন। এই সরকার তেমন কিছুই করতে পারল না কেন? ৯ মাসে সরকার সংস্কার প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি।
মান্না বলেন, প্রফেসর ইউনূস সব কথা বিদেশিদের সঙ্গে বলেন। দেশের কারও সঙ্গে বলেন না। করিডোর নিয়ে কিছুই পরিষ্কার করেননি। কেউ বলছেন আগে বিচার, পরে নির্বাচন। মনে রাখতে হবে, পলিটিক্স ইজ দা কমান্ডার অব দা সোসাইটি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিন্নুর চৌধুরী দিপু, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।