চাঁদাবাজি করে দেশকে অশান্ত করে তুলেছে বিএনপি: চরমোনাই পীর
Published: 9th, May 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বিএনপিকে উদ্দেশ্য বলেন, হাজার হাজার মায়ের কোল খালি হলো, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? সংস্কার যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো সংস্কার না হতেই স্লোগান শুধু নির্বাচন আর নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে আপনারা কী করেছেন? আমরা দেখছি আপনারা সারা দেশে চাঁদাবাজি করে অশান্ত করে তুলেছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে বগুড়া শহরের সাতমাথায় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আপনারা ঘাট দখল করেছেন, স্টেশন দখল করেছেন, মামলা বাণিজ্য শুরু করেছেন। আপনারা আগে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন, তারপর নির্বাচন চান। ক্ষমতায় গেলে আপনারা কী করবেন; তা বাংলাদেশের মানুষের জানা হয়ে গেছে। নতুনভাবে আর দেখতে চাই না।
চরমোনাই পীর বলেন, বিএনপিকে আমি বলবো- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও তাদের বিচারের দাবিতে এবং সংস্কারের দাবিতে আগে আপনারা একমত হোন। সমস্ত রাজনৈতিক দলসহ সকল ধর্ম-বর্ণ সকল পেশার মানুষকে আমি বলবো- দেশকে সুন্দরভাবে গঠন করার জন্য আমরা একত্র হয়ে কাজ করব।
গণসমাবেশে আ ন ম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির আব্দুলাহ আজাদ, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ নুরুন নাবী প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চরম ন ই প র ব এনপ কর ছ ন আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মির্জা ফখরুলের সমাবেশে যোগ দেননি জেলা বিএনপির নেতারা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর পানির নায্য হিস্যার দাবিতে করা গণসমাবেশে অংশ নেননি জেলা বিএনপির নেতারা। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা এলেও মঞ্চ ও সমাবেশস্থলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ নেতৃস্থানীয় কাউকে দেখা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া ও সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কর্মসূচিতে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি তিনি তাঁদের খোঁজও নেননি। এ জন্য তাঁরা ওই কর্মসূচিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বাংলাদেশ-ভারতের অভিন্ন নদী পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলছে। ২ নভেম্বর স্থানীয় শহীদ সাটু হলে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর প্রতিটি উপজেলায় সমাবেশ হয়েছে। আজ শনিবার নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন দলের চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম।
গোলাম জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারা আমাদের কোনো আমন্ত্রণ জানায়নি। এমনকি দলের মহাসচিবও আমাদের কোনো খোঁজ নেয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা জেলা বিএনপির নেতারা গণসমাবেশে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তবে কর্মীরা যেতে চাইলে নিষেধ করা হয়নি।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি গণসমাবেশে ছিলেন না।
জানতে চাইলে সমাবেশের সমন্বয়ক হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁরা (গোলাম জাকারিয়া ও রফিকুল ইসলাম) প্রকৃতপক্ষে বিএনপি করেন না। বিগত নির্বাচনগুলোতে তাঁরা ধানের শীষের বিপক্ষে কাজ করেছেন। এ জন্য তাঁদের ডাকার প্রয়োজন মনে করিনি।’