সুন্দরবন দিয়ে ৭৮ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
Published: 10th, May 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ৭৮ জনকে রেখে গেছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। পরে বন বিভাগের কর্মীরা শুক্রবার (৯ মে) সকালে তাদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যান।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের রেঞ্জ সহকারী হাবিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বন বিভাগের কর্মীরা জানান, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন সুন্দরবনের গহিনে মান্দারবাড়িয়া এলাকায় কয়েকটি স্পিডবোটে করে আসেন। তারা মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৮ জনকে স্পিডবোট থেকে নামিয়ে চলে যান। সকাল ৯টার দিকে বন বিভাগের মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্পের সদস্যরা রেখে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। বিষয়টি পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জানানো হয়। শুক্রবার রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত তারা বন বিভাগের মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত: বিএসএফের গুলি-নির্যাতনে এক বছরে হতাহত ৭
ভারত যেভাবে পুশইন করেছে তা ঠিক নয়: নিরাপত্তা উপদেষ্টা
মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোবারক হোসেন জানান, তার ফাঁড়িতে তিন দফায় মোট ৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। শুরুতে ৩২ জন এলেও পরবর্তীতে আরো দুই দফায় ৪৬ জন মানুষ পায়ে হেঁটে তার ফাঁড়িতে এসে পৌঁছান।
তিনি আরো জানান, বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী বন সংরক্ষকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের রেঞ্জ সহকারী হাবিবুল ইসলাম বলেন, “পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দারবাড়ীয়া এলাকায় অনুপ্রবেশ করা ৭৮ জনকে মান্দারবাড়ীয়া টহল ফাঁড়িতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ম ন দ রব ড় য় স ন দরবন র বন ব ভ গ র র ম ন দ রব ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ