একদল নারীর ছবি তুলে দিতে গিয়ে যেভাবে ইয়ামাল হয়ে গেলেন রায়ান
Published: 11th, May 2025 GMT
বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গিয়ে ছবি তোলার জন্য একজনের হাতে তুলে দিলেন ফোন! এরপর ছবি তোলার সময় চিনতে পারলেন যে আপনাদের ছবি যিনি তুলে দিচ্ছেন, তিনি সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবল তারকা ইয়ামাল। কেমন হবে সে সময় আপনার অনুভূতি? নিশ্চয় বিস্মিত হবেন আবার মজাও পাবেন। ঠিক এ ঘটনাই ঘটেছে একদল নারীর সঙ্গে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় ক্যাপ পরা ইয়ামালের হাতে ছবি তোলার জন্য ফোন তুলে দিচ্ছেন এক নারী। ফোন ইয়ামালের হাতে দিয়ে বন্ধুদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর আগমুহূর্তে সন্দেহ হয় তাঁর।
এগিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘দয়া করে আপনার নামটা কি বলবেন?’ ছবি তোলার প্রস্তুতি নিতে থাকা ইয়ামাল নিজের নাম গোপন করে বলেন, ‘রায়ান।’
আরও পড়ুনইয়ামাল যেভাবে ‘মেসি ২.০’ ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
কিন্তু সেই নারীর বিশ্বাস না হওয়ায় আবারও জিজ্ঞেস করে বলেন, ‘আর আসল নামটা?’ ইয়ামাল আবার একই উত্তর দেন, ‘রায়ান।’ বিশ্বাস না হওয়ায় এ সময় পেছনে দাঁড়ানো নারীরা ‘না না’ করতে থাকেন। আর এর মধ্যেই কোনো একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ইয়ামাল।’
পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, বুঝতে পেরেই ইয়ামালের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত থাকা বাকিরা তাড়া দিয়ে বলেন, ‘ফটো, ফটো, ফটো! এখন নয়তো কখনো নয়।’ এরপর সেই নারীরা দল বেঁধে দাঁড়ান এবং ইয়ামাল তাঁদের ছবি তুলে দেন।
আরও পড়ুননেইমারের বিলাসবহুল গাড়ির সংগ্রহে নতুন সদস্য, জেনে নিন দামসহ অন্যান্য তথ্য১২ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ইয়ামালের ভক্ত-সমর্থকেরা বেশ মজাও নিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘অসাধারণ।’ আরেকজন হাসির ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘রায়ান ইয়ামাল।’ অন্য একজনের মন্তব্য, ‘ভালোই নিজেকে লুকালে, রায়ান।’ কেউ কেউ পরিচয় জানার পরও ইয়ামালকে দিয়ে ছবি তোলানোয় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রেণিকক্ষে বিষমিশ্রিত পানি খেয়ে ৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন বন্দর আমেরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে বিষমিশ্রিত পানি পান করে ৫ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, আরিসা, তাসমিম, মনিরা, জান্নাতি, সাবিনা ও সুরাইয়া। তারা সবাই ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরো পড়ুন:
মিরপুরে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ১
নরসিংদীতে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্লাস চলাকালে শ্রেণিকক্ষে সাবিনা বাড়ি থেকে আনা পানির বোতল থেকে পানি পান করে। পানিতে দুর্গন্ধ পেয়ে বিষয়টি সহপাঠীদের জানায়। এরপর আরো চার শিক্ষার্থী স্বাদ পরীক্ষা করতে পানি পান করে। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে দেখা যায়, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ব্যাগে থাকা পানি ও খাবার থেকেও বিষের গন্ধ আসছে। এতে বিদ্যালয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কবির বলেন, ‘‘ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মনিরা ও সাবিনা প্রথমে ক্লাসরুমে এসে বিষের গন্ধ পাওয়ার কথা জানায়। এরপর শিক্ষকরা পানির বোতল ও খাবার পরীক্ষা করে বিষমিশ্রিত থাকার সত্যতা পায়।’’ তিনি জানান, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আল-আমিন বলেন, ‘‘পাঁচ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের বরিশালে রেফার্ড করা হতে পারে।’’
অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেয়ার পর শ্রেণিকক্ষের এক কোণে বিষমিশ্রিত পানির বোতল পাওয়া যায়।
ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘কমিটিকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির পাশাপাশি পুলিশ ঘটনা তদন্তে কাজ করছে।’’
ঢাকা/ইমরান/বকুল