মানব পাচারকারীদের ‘জিম্মিঘর’ থেকে উদ্ধার ১৪ কিশোর-তরুণ
Published: 11th, May 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী এলাকার একটি ঘর থেকে ১৪ জন তরুণ ও কিশোরকে উদ্ধার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশেন (বিজিবি) সদস্যরা। বিজিবি জানিয়েছে, ওই কিশোর-তরুণদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে টেকনাফের ওই ঘরের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। সেখানে তাঁদের জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছিল।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবির একটি দল অভিযান চালিয়ে এসব কিশোর-তরুণকে উদ্ধার করে। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। উদ্ধার হওয়া কিশোর-তরুণেরা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া দুজনের সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। মোহাম্মদ কাসেম ও মহিন উদ্দিন নামের ওই দুজন কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা। তাঁরা জানান, ইনানী এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের কৌশলে টেকনাফের বাড়িটিতে নিয়ে যান সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালক। সেখানে দুজনকে আটকে রেখে মারধর করে তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। টাকা আদায়ের পরও তাঁদের ছেড়ে না দিয়ে ১৮ দিন ধরে ঘরটিতে আটকে রাখা হয়। তাঁদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান ১৪ কিশোর-তরুণকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মানব পাচারকারীদের জিম্মিঘর থেকে ওই ১৪ জনকে উদ্ধার করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। কারা এ ঘটনায় জড়িত, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে তা জানার চেষ্টা চলছে। এরপর দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উদ্ধার হওয়া দুজনের সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। মোহাম্মদ কাসেম ও মহিন উদ্দিন নামের ওই দুজন কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা। তাঁরা জানান, ইনানী এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের কৌশলে টেকনাফের বাড়িটিতে নিয়ে যান সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালক। সেখানে দুজনকে আটকে রেখে মারধর করে তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। টাকা আদায়ের পরও তাঁদের ছেড়ে না দিয়ে ১৮ দিন ধরে ঘরটিতে আটকে রাখা হয়। তাঁদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান ১৪ কিশোর-তরুণকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মানব পাচারকারীদের জিম্মিঘর থেকে ওই ১৪ জনকে উদ্ধার করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। কারা এ ঘটনায় জড়িত, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে তা জানার চেষ্টা চলছে। এরপর দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উদ্ধার হওয়া দুজনের সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। মোহাম্মদ কাসেম ও মহিন উদ্দিন নামের ওই দুজন কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা। তাঁরা জানান, ইনানী এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের কৌশলে টেকনাফের বাড়িটিতে নিয়ে যান সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালক। সেখানে দুজনকে আটকে রেখে মারধর করে তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। টাকা আদায়ের পরও তাঁদের ছেড়ে না দিয়ে ১৮ দিন ধরে ঘরটিতে আটকে রাখা হয়। তাঁদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান ১৪ কিশোর-তরুণকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মানব পাচারকারীদের জিম্মিঘর থেকে ওই ১৪ জনকে উদ্ধার করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। কারা এ ঘটনায় জড়িত, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে তা জানার চেষ্টা চলছে। এরপর দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র র ক ছ থ ক দ র স গরপথ জ ম ম ঘর ঘর থ ক কর ছ ন এ সময় ১৪ জন
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদা না দেওয়ায় চেয়ারম্যানের হাত-পা ভাঙ্গলো সন্ত্রাসীরা
চাঁদা না দেওয়ায় যশোরের চৌগাছার ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ঢালিকে (৪৭) পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।
ইউনিয়নের মান্দারতলা এলাকায় বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে দুবৃর্ত্তরা তাকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
জিয়াউর রহমান ঢালি সদ্য কার্যক্রম স্থগিত হওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগের ফুলসারা ইউনিয়নের সভাপতি।
চেয়ারম্যানের স্বজনের অভিযোগ, ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরী। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগনেতা জিয়াউর রহমান ঢালি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।
দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী লিটনের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জনের একটি দল জিয়াউর রহমানের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ হন লিটন। বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে লিটন ও তাদের সহযোগীরা পথরোধ করে। এরপর অস্ত্র ঠেকিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে হকিস্টিক দিয়ে দিই পা ও হাত ভেঙে দেয়।
ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান ঢালি বলেন, “চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে একটি পক্ষ আমাকে মেনে নিতে পারে না। আমাকে হত্যার চেষ্টা শুরু করে। স্থানীয় সন্ত্রাসী লিটন আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় আমার উপর হামলা চালিয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় লোকজন চলে আসায় তারা পালিয়ে যায়।”
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাসিবুর রহমান বলেন, ‘‘আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কা মুক্ত।”
যশোর চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করেছে। তদন্ত চলছে, এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’’
ঢাকা/রিটন/এস