বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম। আজ মঙ্গলবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ.এস.এম কাসেম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ববির ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

এর আগে রাত ৯টার দিকে পৃথক ৩টি প্রজ্ঞাপনে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

শুচিতা শারমিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদকে অপসারণ করা হয়।

উল্লেখ্য, উপাচার্য শুচিতার অপসারণের দাবীতে ২২ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছিলেন। উপাচার্যের বাসভবনসহ প্রশাসনিক ভবনে তালা, একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ও সোমবার রাতে ১২ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন এবং মঙ্গলবার বিকেলে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে দক্ষিণাঞ্চল ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বড় অংশ এ আন্দোলনে সংহতি জানান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বব উপ চ র য উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং গত কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে এ পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা বিপৎসীমার চেয়ে ৭ সেন্টিমিটার বেশি।

উজানের ঢলের কারণে তিস্তার পানি ক্রমাগত বাড়ছে, ফলে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল ও চর এলাকাগুলো এরইমধ্যে তলিয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি স্লুইসগেটই খুলে দেওয়া হয়েছে।

ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম বলেন, “উজানের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলো এরইমধ্যে তলিয়ে গেছে। আশঙ্কা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে।”

বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকয়টি স্লুইসগেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা সতর্কাবস্থায় থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলাতেও এর প্রভাব পড়েছে। নদীবেষ্টিত চর এবং চরের গ্রামগুলোতে হাঁটু সমান পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক পরিবার তাদের গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।

ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “গতকাল সারাদিন পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সকাল থেকে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের পানি আরও বাড়তে থাকায় আমরা সব স্লুইসগেট খোলা রেখেছি।”

ঢাকা/সিপন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ