ফতুল্লায় হত্যাচেষ্টা মামলায় বিএনপি নেতার ভাতিজা গ্রেপ্তার
Published: 14th, May 2025 GMT
ফতুল্লার কাশীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জুনায়েদ (২৮) ও কাওসার (৩০) নামের দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। আহতদের মধ্যে জুনায়েদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরমান (৩০) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরমান ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ইকবাল হোসেনের ভাতিজা।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার আহত জুনায়েদের পিতা ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরআগে সোমবার রাতে ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর হাটখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃত আরমান ছাড়াও মামলার অপর আসামীরা হলেন-ওয়াজিদ (৩০), সবুজ (৩০), নাজমুল (৩১), মতিন তালুকদার (৫০), শুভ (৩০)। এদের মধ্যে শুভ ও সবুজ এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। এবং মতিন তালুকদার যুবলীগের ক্যাডার।
মামলার বরাত দিয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত আসামীদের সঙ্গে তার বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ঝামেলা চলে আসছিল। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোমবার রাতে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাইফুল ইসলাম ও তার ছেলে জুনায়েদের উপর উল্লেখিত আসামীগণ ও অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জন হামলা চালায়।
হামলার একপর্যায়ে সুইচ গিয়ার দিয়ে জুনায়েদের কোমরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় পিতাপুত্রের চিৎকারে তাদের রক্ষা করতে সাইফুলের ভাগিনা কাওসার এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে।
পরে তাদের গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। আহত দুইজন ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
সাইফুল ইসলাম জানান, আহত জুনায়েদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আসামীরা প্রভাবশালী। যেকোনো সময় তারা আবারও আক্রমণ করতে পারে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আরমান নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আরম ন এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলায় স্বামীকে নির্যাতনের পর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, মামলা
ভোলার তজুমদ্দিনে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল ও শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার (৩০ জুন) ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় মামলা করেছেন। গত শনিবার রাতে উপজেলার কামারপট্টি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
মামলায় ছয় জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে আরো ৫-৬ জনকে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিক দলের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ও যুবদল নেতা আলাউদ্দিন। তদন্তের স্বার্থে বাকিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
আরো পড়ুন:
আইনজীবী হত্যা: চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আপিল শুনবেন হাইকোর্ট, অর্থদণ্ড স্থগিত
তজুমুদ্দিন সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল ও সজিব ঘটনার পরোক্ষ মদদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। ধর্ষণে সহায়তা করার অভিযোগে ঝর্ণা বেগম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী দম্পতির অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দুই বিয়ে করেছেন। গত শনিবার রাতে তাকে ডেকে পাঠান তার ছোট স্ত্রী। সেখানে যাওয়ার পথে আটকে চাঁদা দাবি করেন ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতারা। তাদের সঙ্গে কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন। তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে তার বড় স্ত্রীকে টাকা নিয়ে এসে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে বলে নির্যাতনকারীরা।
গত রবিবার সকালে বড় স্ত্রী ঘটনাস্থলে গেলে তার কাছে স্বামীর মুক্তিপণ হিসেবে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার সামনেই ওই ব্যক্তিকে আরেক দফা পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। দুপুর ১টার দিকে স্বামীকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে ফরিদ ও আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে তার বড় স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় তাদের বাবা ও ভাই ডেকে এবং হাত-পা ধরেও রক্ষা পাননি ভুক্তভোগী নারী।
পরে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে বাড়ি পাঠিয়ে দেন অভিযুক্তরা। রবিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বাড়ির আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাজারে নিয়ে সবাইকে ঘটনাটি জানান। পরে ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুরো ঘটনা জানালে রাতে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নেয়। সেখানে মামলা হয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু বলেন, “অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তজুমদ্দিন থানার ওসি মহব্বত খান বলেন, “ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ