ইবিতে ছাত্রশিবিরের ৩ দিনব্যাপী বিজ্ঞান উৎসব শুরু
Published: 20th, May 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘ইসমাইল আল জাযারি বিজ্ঞান উৎসব’ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে এই মেলার উদ্বোধন করেন ইবি উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ইউসুব আলী, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ শাখা সভাপতি শোয়াইব আহাম্মেদ প্রমুখ।
এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, লালন কলা ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়সহ কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মেলায় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, প্রজেক্ট ও পোস্টার প্রদর্শনী ও বর্ণবর কিউব প্রদর্শনীর জন্য মোট ৫৫টি স্টল তৈরি করা হয়েছে।
উৎসবের প্রথমদিন মঙ্গলবার প্রোগ্রামিং কনটেস্টে ২১টি দলে মোট ৬৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় দিন বুধবার বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, রোবটিক্স কিউব প্রতিযোগিতা ও প্রজেক্ট প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রজেক্ট অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশন আয়োজন করা হবে।
বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে দশম স্থান অধিকারীদের লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের মাঝে অনেক প্রতিভা আছে। কিন্তু সেগুলো বিকশিত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করার মতো লোক নেই। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিভাবানদের জায়গা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের দেশের মানুষ দেখুক, সরকার দেখুক; উৎসাহ দিক। ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকশিত করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে।”
স্টল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হলো রথ উৎসব
উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব। এ উপলক্ষে রাজধানী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্টো রথটান ছাড়াও পদাবলি কির্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্রী যজ্ঞ, প্রার্থনা, আলোচনা সভা, ধর্মীয় বৈদিক নৃত্য, ভাগবতকথা, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত ২৭ জুন রথ শোভাযাত্রা, রথের মেলাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবারের রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছিল। রথযাত্রার ৯ দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হয় উল্টো রথযাত্রা।
গতকাল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে স্বামীবাগের ইসকন আশ্রম মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য উল্টো রথের শোভাযাত্রা আয়োজন করে। দুপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উল্টো রথযাত্রা উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।
আলোচনা সভার পর বিকেলে বরণানুষ্ঠান ও পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনটি বিশাল রথে শ্রীশ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর প্রতিকৃতিসহ উল্টো রথযাত্রা শুরু হয়। ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টা ও উলুধ্বনির মধ্যে সব বয়সের শত শত নারী-পুরুষ বর্ণাঢ্য সাজে এতে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি পলাশীর মোড় থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন, শাপলা চত্বর, টিকাটুলি ও জয়কালী মন্দির হয়ে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
এ ছাড়া পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দিরেও উল্টো রথযাত্রা হয়।
এদিকে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রামে নগরীর তুলসীধাম মন্দিরের কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটি, নন্দনকানন শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দির এবং শ্রীকৃষ্ণ ইসকন মন্দিরের উদ্যোগে আলাদা আলাদাভাবে উল্টো রথযাত্রা বের হয়। এসব আয়োজনে অংশ নেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে এই রথযাত্রার প্রচলন।