ছায়ানটের দুই দিনের নজরুল উৎসব শুরু
Published: 25th, May 2025 GMT
দ্রোহ ও প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী নজরুল উৎসবের আয়োজন করেছে ছায়ানট। আজ রোববার সন্ধ্যায় সাতটায় ছায়ানট মিলনায়তনে উৎসবের প্রথম দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
ছায়ানটের শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠে ‘এ কী অপরূপ রূপে মা তোমার’ গানের সঙ্গে সম্মেলক নৃত্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে ছিল কথন। প্রাবন্ধিক মফিদুল হক জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর ছিল সম্মেলক গান ‘দেশ গৌড়-বিজয়ে দেবরাজ’। গানের পরে ছিল বিশেষ গীতি–আলেখ্য ‘কাবেরী তীরে’।
অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল গীতি–আলেখ্য, একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য ও আবৃত্তি দিয়ে। নুসরাত জাহানের গাওয়া ‘মেঘের হিন্দোলা দেয়’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন ফারহানা আহমেদ। আবৃত্তি করেন রফিকুল ইসলাম।
একক শিল্পীদের মধ্যে নাসিমা শাহীন ফ্যান্সী পরিবেশন করেন ‘এখনো মেটেনি আশা’, ‘মোহিত খান গেয়েছেন ‘কাবেরী নদী জলে কে গো বালিকা’, ‘এসো চির জনমের সাথী’ গেয়েছেন শ্রাবন্তী ধর, ‘নিশি রাতে রিম ঝিম ঝিম’ পরিবেশন করেছেন মইদুল ইসলাম, ‘পাষাণের ভাঙালে ঘুম’ গেয়েছেন সঞ্জয় কবিরাজ। একক শিল্পীদের মধ্যে আরও ছিলেন ইয়াকুব আলী খান, ঐশ্বর্য সমদ্দার, ধ্রুব সরকার, ছন্দা চক্রবর্তী, রেজাউল করিম, প্রিয়ন্ত দেব, প্রিয়াঙ্কা গোপ, অরূপ সমদ্দার, নাসরিন আক্তার, জয়েৎ কল্যাণ ও শুক্লা পাল। শিল্পীরা ‘নীলাম্বরী শাড়ি পরি নীল যমুনায়’, ‘রহি রহি কেন সে মুখ পড়ে মনে’, ‘ও গো বৈশাখী ঝড়’, ‘পরদেশী বঁধুয়া’সহ অনেকগুলো গান গেয়ে শুনিয়েছেন।
সম্মেলক গান ‘ত্রিংশ কোটি সন্তান তব’ ও ‘বিজলি খেলে আকাশে কেন’ পরিবেশন করেন ইউডার শিক্ষার্থীরা। শেষে ছিল ছায়ানটের ছোটদের দলের সম্মিলিত গান পরিবেশনা ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি’।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ছ য় নট নজর ল
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।