Samakal:
2025-09-18@02:59:44 GMT

ঝুঁকিপূর্ণ ৬ ফুট গভীর ড্রেন

Published: 27th, May 2025 GMT

ঝুঁকিপূর্ণ ৬ ফুট গভীর ড্রেন

নান্দাইল পৌরসভার চারিআনিপাড়া মহল্লায় আরসিসি সড়কের পাশের প্রশস্ত ও গভীর একটি ড্রেন পথচারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঢাকনাবিহীন ওই ড্রেনে পড়ে ইতোমধ্যে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন শিশুসহ গৃহপালিত পশু। কখনও ছোটখাটো যানবাহন পড়ে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, নান্দাইল পৌরসভার চারিআনিপাড়া মহল্লার পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের পাশে হাকিম ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে থেকে দক্ষিণে নরসুন্ধার পার পর্যন্ত এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। ওই এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ওই এলাকায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করে নান্দাইল পৌরসভা। আব্দুল কদ্দুছ নামে একজন ঠিকাদার কাজটি পেলেও তিনি তা বিক্রি করে দেন স্থানীয় ঠিকাদার আ.

লতিফ, রেজাউল করিম রিপন ও আ. গণির কাছে। কিন্তু ছয় ফুট গভীর ও প্রায় তিন ফুট প্রস্থ ড্রেনটি নির্মাণের শুরুতেই গাফিলতি দেখা যায়। মাটি খুঁড়ে দীর্ঘদিন ফেলে রাখার কারণে পাশের সরু সিসি সড়কটির অনেকাংশের মাটি সরে গিয়ে ঢালাই ধসে যায়। এতে এলাকাবাসীর চলাচলে সমস্যা দেখা দিলে সেসময় সমকালে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। এক বছরে নির্মাণকাজ শেষ হলেও ড্রেনের ওপর দেওয়া হয়নি কোনো ঢাকনা। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটিও যথাযথভাবে মেরামত করা হয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকনাবিহীন ড্রেনে পানি চলাচল না থাকায় ময়লাযুক্ত কালো পানি জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বংশ বিস্তার করছে মশা-মাছি। আশপাশের কয়েকজন বাসিন্দা নিজেদের টাকায় ড্রেনের কিছু অংশে পাকা ঢাকনা দিয়ে চলাচল করছেন। স্থানীয় কয়েকজন বয়স্ক নারী পাশে বসে থেকে ড্রেনে পড়ে যাওয়ার ভয়ে ছোট ছেলেমেয়েদের প্রতি নজর রাখছেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ইয়াসমিন নামে একজন জানান, তাঁর আড়াই বছরের সন্তান নুসাইবাও একদিন ড্রেনে পড়ে গিয়েছিল। গত কোরবানি ঈদের আগে হাট থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে একটি বড় ষাঁড় গরু ড্রেনে পড়ে আহত হয়। পাশের সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় অসাবধানতাবশত প্রায়ই ড্রেনে পড়ে যায় লোকজন। 
এ বিষয়ে নান্দাইল পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান জানান, প্রকল্পটি বেশ বড় তাই আগামীতে এডিবির অর্থায়নে দুই ধাপে ড্রেনের ওপর ঢাকনা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৮৯তম একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে সার্বিকভাবে আসন সংখ্যা কমানোসহ অর্গানোগ্রামে আরো ১৮টি নতুন বিভাগের অন্তর্ভুক্তি, চারটি ইনস্টিটিউট চালু এবং ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

ল্যাবভিত্তিক বিভাগগুলোতে আসন সংখ্যা ৪০টি এবং ল্যাববিহীন বিভাগগুলোতে ৫০টি আসন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন ১৮টি বিভাগ অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো—পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগ এবং জৈবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো—সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত গুলো হলো—ইসলামিক স্টাডিজ ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ এবং দর্শন বিভাগ। ব্যবসায় অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো— পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ব্যবসায়িক তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগ এবং লজিস্টিক ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ। প্রকৌশল অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো— বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ, রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ, পুরকৌশল বিভাগ এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগ। আইন অনুষদভুক্ত বিভাগটি হলো— অপরাধবিদ্যা বিভাগ। 

পাশাপাশি চারটি ইনস্টিটিউট গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র। এগুলোর গঠন কাঠামোও সুপারিশ করা হয়েছে। 

এর মধ্যে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, নিয়মিত অধ্যাপক দুইজন, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার বা ম্যানেজার একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং একজন ক্লিনার। 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্রের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, একজন অতিথি অধ্যাপক, অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার অথবা ম্যানেজার হিসেবে একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং ক্লিনার একজন। 

১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ২৬ জন করে শিক্ষক রাখার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, “আমরা মিটিংয়ে এগুলো সুপারিশ করেছি। অর্গানোগ্রাম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্টের জন্য ছাড়পত্র চায়, তারপর কমিশন (ইউজিসি) যদি অনুমোদন দেয়, তখন সেটা অর্গানাগ্রামে যুক্ত হয়। অর্গানোগ্রামে থাকলেই যে বিভাগ হয়ে যাবে, এমন না। একটা অনুমোদন দিয়ে রাখে। এই অনুমোদনের আলোকে আবার যখন দরখাস্ত দেওয়া হয়, তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

তিনি আরো বলেন, “ইউজিসি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে আসন সংখ্যা কমাতে, যাতে কোয়ালিটি এডুকেশনের নিশ্চিত হয়। তারা ল্যাববেজড বিভাগের জন্য ৪০টি আসন এবং ল্যাববিহীন বিভাগের জন্য ৫০টি আসন বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেছেন, “অনেকগুলো সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তবে, এখনই না দেখে বলা যাচ্ছে না। রেজ্যুলেশন পাস হলে বিস্তারিত বলতে পারব।”

ঢাকা/এমদাদুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • দুবাইয়ে বিকৃত যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধানকে চিহ্নিত করল বিবিসির এক অনুসন্ধান
  • মহানবী (সা.)–এর ইন্তেকালের পরে শাসন নিয়ে যা ঘটেছে
  • কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
  • যে কারণে ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর
  • নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে সড়ক সংস্কার, দুদকের অভিযান