আন্তর্জাতিক দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগ সেবা নীতিমালা (আইএলডিটিএস) বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) অপারেটররা। বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতির মুখে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিমালা–২০২৫: ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জের (আইসিএক্স) প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় আইসিএক্সের নেতারা এসব অভিযোগ করেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।

কর্মশালায় আইসিক্স খাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, খসড়া টেলিযোগাযোগ লাইসেন্সিং নীতিমালায় উল্লেখিত আইসিএক্স অপারেটররা টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমে কোনো মূল্য সংযোজন না করে খরচ বাড়াচ্ছে। সেবার গুণগত মান কমাচ্ছে এবং বাজারের গতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করছে—এমন মন্তব্য বিভ্রান্তিমূলক। প্রকৃত চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো।

উল্লেখ্য, কথা বলার ক্ষেত্রে এক মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে অন্য অপারেটরের কল আদান-প্রদান হয় ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ বা আইসিএক্সের মাধ্যমে।

আরও পড়ুনকথা বলা ও ইন্টারনেট সেবায় মধ্যস্বত্বভোগী কমবে, গ্রাহকের লাভ কী২৩ এপ্রিল ২০২৫

আইসিএক্স অপারেটররা না থাকলে সরকার বছরে ২৮০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাবে বলে কর্মশালায় দাবি করেন আইসিএক্স অপারেটররা। তাঁরা বলেন, এতে দেশের বাজারে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি তথা মোবাইল অপারেটরদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই দেশীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতি এড়াতে আইএলডিটিএস নীতিমালা বহাল রাখার দাবি জানান তাঁরা।

কর্মশালায় বক্তব্য দেন টেলিকমিউনিকেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার অপারেটর অব বাংলাদেশের (টিআইওবি) সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) মোস্তাফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম প্রমুখ।

টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব আইসিএক্স অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এআইওবি) সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ভয়েসটেলের চিফ অপারেটিং অফিসার মুস্তাফা মাহমুদ হোসেন, বাংলা আইসিএক্সের পরিচালক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক ফোনকল আনা: সালমানের ‘গড়া সিন্ডিকেট’ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিটিআরসির১২ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সচিবালয়ে এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেন সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মচারীরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা গতকাল বুধবার দেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা।

একই সঙ্গে মাঠপর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব দপ্তরে একই সময়ে এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায় ঐক্য ফোরাম।

দাবি পূরণ না হলে ৩১ মের পর থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে গতকাল জানান ঐক্য ফোরামের নেতারা।

আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে এই কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। এখন তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে বসবেন।

পরে এই প্রতিবেদক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে গিয়ে বেশ কিছুসংখ্যক কর্মচারীর জমায়েত দেখতে পান। এদিকে কিছু দপ্তরে গিয়ে কোনো কোনো কর্মচারীকে নিজ দপ্তরে দেখা গেছে।

আরও পড়ুনকাল থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা সচিবালয়ের কর্মচারীদের১৮ ঘণ্টা আগে

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এর পর থেকে এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।

আরও পড়ুনঅধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারীদের দাবির কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব২২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বে এখনো ১২১ কোটি মানুষ ধূমপান করে: প্রতিবেদনের তথ্য
  • আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের ও অস্থির একটি দিন ছিল
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩০ মে ২০২৫)
  • মানচিত্র থাকলে মিনায় হারানোর ভয় নেই
  • নতুন কর্মসূচি ঘোষণা, ১ জুন থেকে কর্মবিরতি থাক‌ছে না
  • বাউবিতে এমবিএ, বাংলায় পড়াশোনা
  • সচিবালয়ে কর্মচারীদের এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • সচিবালয়ে এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা
  • নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালায় মোবাইল অপারেটরদের স্বার্থ দেখেছে বিটিআরসি