বাংলাদশ-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আজ
Published: 30th, May 2025 GMT
মাঠের বাইরে প্রশাসনিক বিভাগে অস্থিরতা। নীতিনির্ধারক পর্যায়ে চলছে পালাবদল। মাঠের ভেতরে লেজেগোবরে পারফরম্যান্স। মুখ রক্ষা করাও যেন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুইয়ে মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন কাটাচ্ছে চরম খারাপ সময়।
বিব্রতকর এবং চ্যালেঞ্জিং এই সময়টাতেই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ। যারা প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৭ রানের বিশাল ব্যধানে হেরেছে। আজ হারলেই সিরিজ হাতছাড়া। এমন সমীকরণ মাথা রেখে স্থানীয় সময় রাত ৯টায় মাঠে নামতে যাচ্ছে লিটন দাসের দল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানে ভালো শুরুর। কিন্তু প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কোনো পারফরম্যান্সই ভালো হয়নি। অধিনায়ক লিটনের যত অভিযোগ নিজেদের নিয়ে, ‘‘পুরো ম্যাচেই আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। ভালো ফিল্ডিং করতে পারিনি। কোনো কিছুতেই সন্তোষজনক নয়।’’
দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগে ভুল শোধরানোর সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। কারণ মাঝে একদিনের বিরতি। এদিন হোটেলেই কাটিয়েছেন ক্রিকেটাররা। তবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের দলপতি, ‘‘আমাদেরকে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এখনো দুইটি ম্যাচ আছে।’’
পাকিস্তান আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২০১ রানের বিশাল পুঁজি পায়। অথচ ২ উইকেটে তাদের রান ছিল মাত্র ৫। জবাবে বাংলাদেশ ৪ ওভারে ৩৭ রান করলেও দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে। পরে প্রবল রানরেটের চাপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৯.
ভুল থেকে শিক্ষা নিতে বললেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ, ‘‘ভুলগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমাদের ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য আছে বলে মনে করি।’’
মুশতাক ব্যাটসম্যানদের থেকে বড় রান এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের প্রত্যাশায়, যেমনটা রেখেছিল বাংলাদেশ, ‘‘পাকিস্তানের আজ (গত রাতে) ইনটেন্ট অনেক ভালো ছিল। তাদের তাই কৃতিত্ব দিচ্ছি। টি-টোয়েন্টিতে ইনটেন্টটা দরকার। যখন আপনি ২০০ রান তাড়া করছেন, আপনি কখনোই চাইবেন না যে আস্কিং রেট ১৩-এর ওপরে উঠুক। আমরা এখানে কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। তার মানে এটা নয় যে আমাদের ব্যাটারদের ২০০ রান করার সামর্থ্য নেই।’’
দুই দল এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের জয় কেবল ৩টি। বাকি ১৭টিতেই হার । প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয়ে পাকিস্তানও চাইবে দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার।তাতে কিছুটা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ এই ম্যাচে একটি পরিবর্তন আনতেও পারে। সহ অধিনায়ক মাহেদী হাসানের জায়গায় খেলতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শুরুতে দলের সঙ্গে ছিলেন না। পরবর্তীতে তাকে দলে যুক্ত করেন। তার সুযোগ হলে এবং দল শেষ পর্যন্ত জিতলে তা হবে বিরাট পাওয়া।
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ আইপিএলের আগে নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিল কেকেআর
আইপিএল ২০২৬ মৌসুমের আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) নতুন হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিল অভিষেক নায়ারকে। গত মৌসুমে তিনি ছিলেন চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের সহকারী কোচ। এবার সেই জায়গা থেকেই পদোন্নতি পেয়ে দলের দায়িত্বভার নিলেন তিনি। এর আগে এক বছরের বিরতিতে নায়ার কাজ করেছিলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী হিসেবে।
সম্প্রতি নারী প্রিমিয়ার লিগের দল ইউপি ওয়ারিয়র্সও তাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।
আরো পড়ুন:
শেষটায় কী অপেক্ষা করছে?
ফাইনালে যেতে ভারতকে ৩৩৯ রানের টার্গেট দিলো অস্ট্রেলিয়া
কেকেআরের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর এক বিবৃতিতে বলেন, “২০১৮ সাল থেকে অভিষেক কেকেআর পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাঠের ভেতরে ও বাইরে- দুই জায়গাতেই তিনি আমাদের খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। খেলার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো বোঝার ক্ষমতা আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে গভীর সংযোগ; দুটোই তাকে আলাদা করে রেখেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখন তিনি প্রধান কোচ হিসেবে কেকেআরকে নতুন অধ্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন।”
৪২ বছর বয়সী অভিষেক নায়ার একসময় ছিলেন মুম্বাইয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২০০৯ সালে ভারতের জার্সি গায়ে তিনটি ওয়ানডেও খেলেছেন তিনি। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের চেয়ে কোচ হিসেবে তার সিভিটাই এখন অনেক সমৃদ্ধ।
২০১৮ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ দিকে নায়ার কেকেআর একাডেমির প্রধান কোচ নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে অবসরের পর মূল দলের সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০২২ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেন।
কেকেআরে থাকাকালীন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তার গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। যখন গম্ভীর ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ হন, তখন নায়ারও তার সহকারী হিসেবে যোগ দেন। তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআইয়ের পর্যালোচনার পর এক বছরেরও কম সময়ে তার চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। এরপর আইপিএল ২০২৫ মৌসুমের আগে তিনি ফের ফিরে আসেন কেকেআরে।
তিন মৌসুম পর কেকেআর ও চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের পথ আলাদা হয়ে যায়। সেই সময়ের মধ্যে দলটি দশ বছর পর ২০২৪ সালে আইপিএল শিরোপা জিতেছিল। তবে ২০২৫ মৌসুমে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে মাত্র পাঁচ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকাটা শেষ পর্যন্ত পান্ডিতের বিদায়ের কারণ হয়। এরপর তিনি ফিরে যান নিজ রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এবং সেখানে ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব নেন।
কেকেআরের সহায়ক দলেও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বোলিং পরামর্শক ভরৎ অরুণ ও স্পিন-বোলিং বিশেষজ্ঞ কার্ল ক্রো দুজনই চলে গেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসে। ফলে আগামী কয়েক মাসে তাদের বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু হবে।
অর্থাৎ, নতুন করে সাজানো কেকেআর এখন নতুন কোচ অভিষেক নায়ারের হাত ধরে এগোতে প্রস্তুত। আইপিএল ২০২৬-এ আবারও পুরনো জৌলুস ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায়।
ঢাকা/আমিনুল