মাঠের বাইরে প্রশাসনিক বিভাগে অস্থিরতা। নীতিনির্ধারক পর্যায়ে চলছে পালাবদল। মাঠের ভেতরে লেজেগোবরে পারফরম‌্যান্স। মুখ রক্ষা করাও যেন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুইয়ে মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন কাটাচ্ছে চরম খারাপ সময়।

বিব্রতকর এবং চ‌্যালেঞ্জিং এই সময়টাতেই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ। যারা প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৭ রানের বিশাল ব‌্যধানে হেরেছে। আজ হারলেই সিরিজ হাতছাড়া। এমন সমীকরণ মাথা রেখে স্থানীয় সময় রাত ৯টায় মাঠে নামতে যাচ্ছে লিটন দাসের দল।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের লক্ষ‌্য ছিল পাকিস্তানে ভালো শুরুর। কিন্তু প্রথম ম‌্যাচে বাংলাদেশের কোনো পারফরম‌্যান্সই ভালো হয়নি। অধিনায়ক লিটনের যত অভিযোগ নিজেদের নিয়ে, ‘‘পুরো ম‌্যাচেই আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। ভালো ব‌্যাটিং করতে পারিনি। ভালো ফিল্ডিং করতে পারিনি। কোনো কিছুতেই সন্তোষজনক নয়।’’

দ্বিতীয় ম‌্যাচে মাঠে নামার আগে ভুল শোধরানোর সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। কারণ মাঝে একদিনের বিরতি। এদিন হোটেলেই কাটিয়েছেন ক্রিকেটাররা। তবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের দলপতি, ‘‘আমাদেরকে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এখনো দুইটি ম‌্যাচ আছে।’’

পাকিস্তান আগে ব‌্যাটিং করতে নেমে ২০১ রানের বিশাল পুঁজি পায়। অথচ ২ উইকেটে তাদের রান ছিল মাত্র ৫। জবাবে বাংলাদেশ ৪ ওভারে ৩৭ রান করলেও দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে। পরে প্রবল রানরেটের চাপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৯.

২ ওভারে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

ভুল থেকে শিক্ষা নিতে বললেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ, ‘‘ভুলগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমাদের ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য আছে বলে মনে করি।’’

মুশতাক ব‌্যাটসম‌্যানদের থেকে বড় রান এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের প্রত‌্যাশায়, যেমনটা রেখেছিল বাংলাদেশ, ‘‘পাকিস্তানের আজ (গত রাতে) ইনটেন্ট অনেক ভালো ছিল। তাদের তাই কৃতিত্ব দিচ্ছি। টি-টোয়েন্টিতে ইনটেন্টটা দরকার। যখন আপনি ২০০ রান তাড়া করছেন, আপনি কখনোই চাইবেন না যে আস্কিং রেট ১৩-এর ওপরে উঠুক। আমরা এখানে কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। তার মানে এটা নয় যে আমাদের ব্যাটারদের ২০০ রান করার সামর্থ্য নেই।’’

দুই দল এখন পর্যন্ত ২০ ম‌্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের জয় কেবল ৩টি। বাকি ১৭টিতেই হার ।  প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয়ে পাকিস্তানও চাইবে দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার।তাতে কিছুটা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ এই ম‌্যাচে একটি পরিবর্তন আনতেও পারে। সহ অধিনায়ক মাহেদী হাসানের জায়গায় খেলতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শুরুতে দলের সঙ্গে ছিলেন না। পরবর্তীতে তাকে দলে যুক্ত করেন। তার সুযোগ হলে এবং দল শেষ পর্যন্ত জিতলে তা হবে বিরাট পাওয়া।

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে
  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ