বিশ্বে এখনো ১২১ কোটি মানুষ ধূমপান করে: প্রতিবেদনের তথ্য
Published: 30th, May 2025 GMT
করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের নানা দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে। এসব বাধার কারণে অন্তত ৯ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ধূমপান ছাড়ার সুযোগ হারিয়েছে। আজ শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ৫৭টি তামাকবিরোধী সংগঠন এই প্রতিবেদনকে সমর্থন করেছে।
২০২৫ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তামাক নিয়ন্ত্রণ সনদে ১৬৮টি দেশ সই করে। এতে ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধূমপান ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
২০২৪ সালে এই লক্ষ্যপূরণের সময়সীমা আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। কারণ, নানা সংকটে অনেক দেশ এ–সংক্রান্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত অর্থ ও মনোযোগ দিতে পারেনি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে; কিন্তু ধূমপায়ীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। ফলে বিশ্বজুড়ে এখনো প্রায় ১২০ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ ধূমপান করছেন। অথচ চলতি বছরের মধ্যে তা কমিয়ে ১১১ কোটি ২৪ লাখে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে জমা দেওয়া হয়েছে, যারা বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো দেখভাল করে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে অ্যাকশন অন স্মোকিং অ্যান্ড হেলথ কানাডা (এএসএইচ কানাডা)। এতে ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো-ফ্রি কিডস, ক্যানসার রিসার্চ ইউকে-সহ ৫৭টি সংগঠন সমর্থন দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণের গতি বাড়ানো না গেলে ভবিষ্যতে ধূমপানজনিত রোগে ‘লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু’ হতে পারে।
জাতিসংঘ আগেই বলেছে, অর্থের সংকট, ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং মহামারিজনিত সমস্যার কারণে ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের বেশির ভাগের অগ্রগতি থমকে গেছে। এসব লক্ষ্যের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাস, ক্ষুধামুক্তি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন অন্যতম।
এএসএইচ কানাডার প্রতিবেদনে দেশগুলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে তামাক পণ্যের ওপর কর বাড়ানো ও ধূমপান নিষিদ্ধকরণ অন্যতম।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: লক ষ য
এছাড়াও পড়ুন:
সচিবালয়ে কর্মচারীদের এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। কর্মবিরতি শেষে আগামী রবি ও সোমবারের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মচারীরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন বলে গতকাল বুধবার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা। সে অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়।
আরও পড়ুনসচিবালয়ে এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা২ ঘণ্টা আগেআজকের কর্মবিরতি শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থিত সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সাংবাদিকদের কাছে নতুন কর্মসূচিসহ পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানান ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর ও মুহা. নূরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম।
ঐক্য ফোরামের নেতারা বলেন, আগামী রবি ও সোমবার এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে না। এর পরিবর্তে রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আর সোমবার স্মারকলিপি দেওয়া হবে দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের কাছে। মাঠপর্যায়ে সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের মাধ্যমেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনসপ্তাহে দুই দিন সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন না দর্শনার্থীরা১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এখন জাপান সফরে আছেন। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর ‘ভালো সংবাদ’ পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছেন ঐক্য ফোরামের নেতারা। তাঁদের প্রত্যাশা, ‘ভালো সংবাদ’ নিয়েই তাঁরা ঈদুল আজহা পালন করতে পারবেন।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এর পর থেকে এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। এ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
আরও পড়ুনঅধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারীদের দাবির কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব২৮ মে ২০২৫