দারুণ সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলেন ইমন। তৃতীয় ওভারে সাইম আইয়ুবের বিরুদ্ধে ঝড় তোলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ওই ওভারেই দুই ছক্কা ও এক চারে তুলে নেন ১৯ রান। চতুর্থ ওভারে হাসান আলীর বলে ক্যাচ তুলে দেন তানজিদ, কিন্তু লং অফে ফাহিম আশরাফের হাত ফসকে জীবন পেয়ে যান তিনি। উল্টো ওই বলে বাউন্ডারি চলে যায়। পরের বলেই মিড অফ দিয়ে আরেকটি চার হাঁকান তানজিদ। ওপেনিং জুটিতে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ফলস্বরূপ মাত্র ৫.

৩ ওভারেই বাংলাদেশ দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে।

৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৬৪ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ক্রিজে ৩৭ রানে ইমন ও ২৪ রানে খেলছেন তানজিদ।

খালেদের অভিষেক, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

আগের ম্যাচে চোটে পড়ে পেসার শরিফুল ইসলাম সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন। তার পরিবর্তে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক হল আরেক পেসার খালেদ আহমেদের। বাংলাদেশ দলে এই একটিই পরিবর্তন। এই ম্যাচেও তিন পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানও একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে। হ্যারিস রউফের পরিবর্তে খেলছেন আব্বাস আফ্রিদি।

বাংলাদেশ একাদশ: পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম পাটোয়ারি, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, খালেদ আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ।

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর আশায় ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ। বাচা-মরার এই ম্যাচে টস ভাগ্যে হেরেছে সফরকারীরা। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আঘা। ফলে আগে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারলেই তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের মতো দলের কাছেও হারের পর পাকিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হলে তা হবে লিটন দাসদের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা।

এদিকে সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিতলে প্রায় সাড়ে তিন বছরের অপেক্ষা ফুরোবে পাকিস্তানের। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সবশেষ হোয়াইটওয়াশ করেছিল তারা। এরপর ১১ সিরিজ খেলে একটিতেও সব ম্যাচ জিততে পারেনি পাকিস্তান।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফরের সময়সূচি ঘোষণা

বছরের শেষভাগটা ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেই এবার তারা পাড়ি জমাবে বাংলাদেশে। অক্টোবর-নভেম্বরে নির্ধারিত এই সফরে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলবে ক্যারিবীয়রা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ইতোমধ্যেই আসন্ন তিনটি সিরিজের সূচি চূড়ান্ত করেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ মাঠে গড়াবে অক্টোবরের ১৮, ২০ ও ২৩ তারিখে। এরপর শুরু হবে সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টি, যা অনুষ্ঠিত হবে অক্টোবরের ২৭, ৩০ ও নভেম্বরের ১ তারিখে।

আরো পড়ুন:

৭ উইকেটের হার, সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ

শান্তর পরিবর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছেন দিপু, ভিসা হয়নি অঙ্কনের

তবে এর আগেই শারজাহতে নেপালের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেপ্টেম্বরের ২৭, ২৯ ও ৩০ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য এই ম্যাচগুলো হবে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফরের ভেন্যুগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, প্রথম দুটি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তৃতীয় ওয়ানডে ও প্রথম টি-টোয়েন্টি হবে চট্টগ্রামে। বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি আয়োজন করা হবে ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশের সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মিশ্র অভিজ্ঞতা হয়েছিল টাইগারদের। ক্যারিবীয়দের মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার ঐতিহাসিক কীর্তি গড়লেও ওয়ানডে সিরিজে উল্টো হোয়াইটওয়াশের শিকার হতে হয়। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়।

বাংলাদেশ সফর শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অক্টোবরেই পাড়ি দেবে ভারতে। যেখানে দুটি টেস্ট খেলবে তারা। প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২ অক্টোবর আহমেদাবাদে। আর দ্বিতীয় টেস্ট হবে ১০ অক্টোবর দিল্লিতে। এরপর নভেম্বর-ডিসেম্বরে পূর্ণাঙ্গ সফরে যাবে নিউ জিল্যান্ডে। যেখানে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টেস্ট খেলবে তারা।

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ম্যাচ সূচি:

ওয়ানডে সিরিজ:
১ম ওয়ানডে – ১৮ অক্টোবর,
২য় ওয়ানডে – ২০ অক্টোবর,
৩য় ওয়ানডে – ২৩ অক্টোবর।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ:
১ম টি–টোয়েন্টি – ২৭ অক্টোবর,
২য় টি–টোয়েন্টি – ৩০ অক্টোবর,
৩য় টি–টোয়েন্টি – ১ নভেম্বর।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফরের সময়সূচি ঘোষণা