লিচু–লেবুর সসে লিচি আই বলের রেসিপি
Published: 2nd, June 2025 GMT
উপকরণ
ডেজার্টের জন্য: লিচু পেস্ট ১ কাপ, লিচুর রস আধা কাপ, ঈষদুষ্ণ তরল দুধ আধা কাপ, কাজুবাদাম গুঁড়া ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, পানি আধা কাপ, কোরানো নারকেল ১ কাপ, ব্লু বেরি বা জাভা পাম ৭-৮টি।
লিচি লেমন কার্ড সসের জন্যডিমের হলুদ অংশ ১টি, গুঁড়া চিনি ৩ চা–চামচ, মাখন ২৫ গ্রাম, লিচুর রস আধা কাপ, নারকেল দুধ ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ চা–চামচ।
প্রণালিলিচি লেমন কার্ড সসের জন্য: একটি সসপ্যানে পানি গরম করতে দিয়ে তার ওপর একটি কাচের বড় গোলাকার পাত্র রাখুন। এবার এতে উপকরণের তালিকা অনুযায়ী একে একে দিয়ে হুইস্কের সাহায্যে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন, যাতে লেগে না যায়। সবশেষে লেবু রস দিয়ে আবারও হুইস্ক দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে রাখুন।
ডেজার্টের জন্য: একটি পাত্রে চিনি ও পানি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে শিরা তৈরি করে নিন। এবার অন্য পাত্রে বাকি সব উপকরণ ভালোভাবে মেখে ছোট ছোট বল বানিয়ে মাঝ থেকে প্রেস করে একটি গর্ত তৈরি করুন। এবার কিছুটা চ্যাপ্টা আকারে গড়ে চিনির শিরায় ৪ থেকে ৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। নামানোর পর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে ডেসিকেটেড কোকোনাটে গড়িয়ে মাঝের গর্তে ব্লু বেরি অথবা জাভা প্লাম বসিয়ে পছন্দমতো করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
লিচুর রস তৈরির প্রণালি: এক কাপ লিচুর টুকরা ও তিন কাপ পানি মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিলেই তৈরি লিচুর রস বা জুস। চাইলে সারা বছর ডিপ ফ্রিজে রেখে অনায়াসেই এই জুস ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুনপ্রতিদিন কতটুকু আম, লিচু বা জাম খেতে পারবেন?২৭ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ সন্দেহে তরুণ গ্রেপ্তার, বোমা তৈরির উপকরণ জব্দ
শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার বিশাকুড়ি এলাকা থেকে জঙ্গি সন্দেহে পুলিশ এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে ওই তরুণের বাসা থেকে বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় আফতাব উদ্দিন ওরফে আবির (১৯) নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার তিনি শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানায়, আফতাব উদ্দিনের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা রয়েছে ও নাশকতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে বাড়ির সামনের সড়ক থেকে আটক করা হয়। এরপর ঢাকা থেকে রাতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল ডামুড্যায় আসে। তারা আফতাব উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ওই বাড়ি থেকে বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
পরের দিন রোববার ডামুড্যা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আফতাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। আদালতের বিচারকের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তাঁকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই তরুণ অনলাইন মাধ্যমে যুক্ত থেকে জঙ্গিবাদে স্বেচ্ছায় উদ্বুদ্ধ (সেলফ মোটিভেটেড) হওয়ার কথা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সে কিছু একটা করবে, এমন চেষ্টা করছিল। তার আগেই আমরা তাকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তবে আইএসের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে তার দিকে (আইএস) সে উদ্বুদ্ধ হয়েছে, এমন বলেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
ডামুড্যা থানা সূত্র জানায়, ডামুড্যা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিশাকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আফতাব উদ্দিন। তিনি ডামুড্যা উপজেলা সদরের পূর্ব ডামুড্যা সরকারি কলেজ থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তাঁর বাবা আবদুল মালেক হাওলাদার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। কয়েক বছর আগে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে আফতাব উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আফতাব উদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তাঁর বাড়ি তল্লাশি করলে বোমা তৈরির উপকরণ পাওয়া যায়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি কী বলেছেন, তা তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে বলা যাবে না।