প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) চাওয়া হয়েছে বলে দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। ডিসেম্বর মাস সরকার নিজেই বলেছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলো স্বাভাবিক কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।’

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টাসহ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এখন ডিসেম্বরের থেকে যদি অন্য কোনো কিছু হয়, পেছায় তাহলে সেটা সরকারকেই ব্যাখ্যা করতে হবে যে এই বাড়তি সময় তাদের কেন লাগবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান আলোচনায় সংস্কার নিয়ে প্রয়োজনীয় সব বিষয় তুলে ধরা হবে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তুলে আমরা সর্বোচ্চ ছাড় দিতে চাই এবং সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে আমরা যথাসম্ভব বেশি ঐকমত্য তৈরি করতে চাই। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেগুলো জুলাই সনদ কিংবা জাতীয় সনদ আকারে হবে। আমরা ঘোষণা করার পক্ষে যেসব বিষয়ে দ্বিমত, আলোচনার পরও থেকে যাবে, সেগুলো জনগণের মধ্যে যাবে, নির্বাচনের মধ্যে যাবে, যে দলকে জনগণ বিজয়ী করবে তারাই সেগুলো বাস্তবায়ন করবে।’

জনগণের মধ্যে ঐকমত্যের জন্য নির্বাচনের তারিখ সুনির্দিষ্ট করা দরকার জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার, সে বিষয়ে আমাদের কথাবার্তা এবং সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেগুলো আমাদের জানা দরকার। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা আলোচনাই তুলতে পারছি না। কেননা, নির্বাচনের তারিখ নিয়েই পুরো বিষয়টা ঘোরাফেরা করছে এবং মানুষের মধ্যে অনাস্থা, অনিশ্চয়তা আছে যে আদৌ নির্বাচন হবে কি না। কাজেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তিনি এ ব্যাপারে মানুষের সংশয় দূর করতে পারেন। নির্বাচনের তারিখ এবং অন্যান্য যেটা আমরা বললাম বিচার ও সংস্কার, সেগুলোর সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপটা ঘোষণা করে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড স ম বর ঐকমত য

এছাড়াও পড়ুন:

লাঙ্গল মার্কার কেউ বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না : টিপু 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, বন্দরে যারা লাঙ্গল মার্কায় নির্বাচন করে বা জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করেছেন, তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না।

এইসব লোক খুনি সেলিম ওসমানের দালালি করেছে। তারা মুখে মুখে বিএনপির কথা বলে, অথচ কাজ করে জাতীয় পার্টির জন্য। এদের কোনভাবেই বিএনপির সদস্যপদ দেওয়া যাবে না।

রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় বন্দর উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সবসময় গণতন্ত্রের কথা বলেছে কিন্তু এই চেতনাকে ধারণ করে ৭১ থেকে ২৪ পর্যন্ত তারা এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অসম্মানিত করেছে, লন্ডিত করেছে, পদদলিত করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিক্রি করে, লুটপাট চুরি ডাকাতি করে। এদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার বিদেশে করে দিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ১৬টি বছর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন করে জনগণের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। আর আমরা যেন বিএনপির, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদল সব মিলিয়ে ১১টি অঙ্গ সংগঠন আমরা যেন জনগণের মুখের হাসি কেড়ে না নেই। এবং আমরা যেন জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের যেকোনো সমস্যার সমাধানে সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। 

বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, শহীদ যুবদল নেতা আবুল হোসেন স্বজনের পিতা জাকির হোসেন। 

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সম্রাট হাসান সুজন, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল মিয়া, সহ- সভাপতি কবির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন রাজিব,বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানস, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন: মিন্টু
  • আশুলিয়ায় বিএনপির জনসভা ও এনসিপির পদযাত্রা আজ, নিরাপত্তা জোরদার
  • জাতিসংঘে সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বৈঠক, ফিলিস্তিন ইস্যুতে উদ্বেগ
  • কিছু দল পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে শপথ করেছে: ফখরুল
  • ভুয়া র‍্যাবকে ধাওয়া দিল আসল র‍্যাব, পথে দুই পক্ষকেই পেটাল জনতা
  • মনোনয়ন নিয়ে চিন্তা করবেন না, জনগণের পাশে থাকুন : আজাদ 
  • নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে: সালাহউদ্দিন
  • স্থানীয় শাসনব্যবস্থায় নাগরিকেরা কোথায়
  • লাঙ্গল মার্কার কেউ বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না : টিপু 
  • পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি: ফখরুল