সিদ্ধিরগঞ্জে ডিএনডি খালের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ খাল পরিষ্কারের কর্মসূচি শুরু করেছে প্রকল্পটির দায়িত্বে থাকা ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি তালতলা ক্লাব এলাকা থেকে এই উচ্ছেদ কর্মসুচি শুরু হয়।

এসময় প্রকল্প কর্মকর্তা প্রকৌশলী মেজর এস এম সাকিব আজওয়াদ সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ডিএনডি প্রকল্পের অভ্যন্তরের কিছু কিছু এলাকায় পানি জমলে ৪৮ ঘন্টার সময় থাকলেও সেখানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা তা অপসারণ করতে পেরেছি।

তবে সেসব স্থানের খালগুলোতে ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ থাকায় পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করছিলো। প্রতিবছরই এসব খাল পরিস্কার করা হলেও সেগুলো আবার ভরে যাচ্ছে বিভিন্ন ময়লা ফেলার কারনে। সিদ্ধিরগঞ্জের এই কংশ নদিটি তার একটি। যেটি এখন খাল হয়ে গেছে।

এখানেও গত বছর বর্ষার আগে পরিস্কার করা হয়েছিলো। এই খালটির মতোই আরো অনেক খাল আছে ডিএনডি এলাকায় সেগুলোও ভরাট হয়ে আছে।

এসময় তিনি ডিএনডি এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, প্রকল্পের সুফল সব সময়ের জন্য ভোগ করতে চাইলে খালগুলো রক্ষণাবেক্ষনের পাশাপাশি স্থানীয় সকলকে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে করে ময়লা ফেলে খালগুলো ভরাট না করে।

এছাড়া ডিএনডি প্রকল্পের বাইরে কিছু এলাকা রয়েছে যেগুলো নারায়ণগঞ্জের অর্ন্তভুক্ত যেমন ফতুল্লার লালপুর, ইসদাইর, গাবতলী এলাকাগুলো নিচু হওয়ার কারণে সেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এসব এলাকাগুলো প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত নয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ড এনড স দ ধ রগঞ জ প রকল প র ড এনড

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২