Samakal:
2025-11-02@23:16:47 GMT

চট্টগ্রামে ছোট গরুর বড় দাম

Published: 5th, June 2025 GMT

চট্টগ্রামে ছোট গরুর বড় দাম

এক দিন পরই ঈদুল আজহা। কোরবানির এই উৎসবকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে জমজমাট চট্টগ্রামের ২২৮টি স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাট। প্রায় প্রতিটি হাটে এসেছে পর্যাপ্ত পশু। তবে দাম বেশ চড়া।

চট্টগ্রামে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের চাহিদা ছোট আকারের গরুর। তাই ব্যাপারীরা ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি নিয়ে এসেছেন। তবে আকার ছোট হলেও এসব গরুর দাম বেশি হাঁকছেন বিক্রেতা। গোখাদ্যের দাম ও পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে ছোট গরুর দাম বেশি বলে দাবি করছেন তারা।

ওজনভিত্তিক গরুর আকার প্রসঙ্গে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.

মো. আলমগীর জানান, সাধারণত এক থেকে দুই মণ ওজনের গরু ছোট আকারের। দুই থেকে তিন মণ ওজনের গরু মাঝারি এবং এর ওপরের ওজনের গরু বড় আকারের। চট্টগ্রামে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। জোগানও রয়েছে। বড় খামারে দুই হাজার কেজি ওজনের (প্রায় ৫০ মণ) বেশ কিছু গরু আনা হয়েছে।

হামজারবাগ থেকে গতকাল বুধবার তিন ছেলেকে নিয়ে নগরের বিবিরহাটে কোরবানির গরু কিনতে এসেছেন দুই চাকরিজীবী মো. লোকমান ও মো. ইমন। সামর্থ্য না থাকায় দুই পরিবার এবার এক গরু দিয়ে কোরবানি করবে। বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা বেশ কিছু গরু দেখেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দেখেও গরু না কিনে বাজার থেকে বের হতে দেখা যায় তাদের। 

জানতে চাইলে মো. লোকমান বলেন, ‘আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই একই ভবনের আরেক পরিবারের সঙ্গে এবার কোরবানি করতে ছোট গরু কিনতে এসেছি। বাজারে ছোট ও মাঝারি গরু পর্যাপ্ত থাকলেও দাম বেশি। গতবার যেসব গরু ৬০ থেকে ৭০ হাজারে কেনা গেছে, এবার তার দাম চাইছে ১ লাখ ২০ হাজারের ওপরে।’

মো. ইমন বলেন, ‘ছোট অনেক গরু দেখে একটিও কিনতে পারিনি। কারণ গরু পছন্দ হলেও দাম বাজেটের চেয়ে বেশি। ছোট একটি গরুর দাম কেমনে লাখ টাকার ওপরে হয়? এত দাম দিয়ে কীভাবে কোরবানির পশু কিনবে মধ্যবিত্তরা? কোরবানি ঘনিয়ে এলেও দাম ছাড়ছেন না ব্যাপারীরা।’ এ দুই ক্রেতার মতো দাম বেশি নিয়ে হতাশার কথা প্রকাশের পাশাপাশি অনেকে ঝাড়লেন ক্ষোভও।

ভোলার লালমোহন থেকে দুই ট্রাক গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী মো. ইদ্রিস বলেন, ‘বাজারে এবার ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তাই ছোট গরু বেশি এনেছি। তবে বেশির ভাগ ক্রেতা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এবার ছোট গরুর দাম কিছুটা বেশি।’ কুমিল্লা থেকে ৩০টি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী মাহি উদ্দিন। এর মধ্যে ২০টি ছোট। মাহি উদ্দিন বলেন, ‘বড় গরু কেনে খুব কম মানুষ। বাজারে ছোট গরুর ক্রেতার সমাগম থাকলেও বিক্রি কম। বেশির ভাগ ক্রেতা দরদাম করছে কেবল। গরুর লালন-পালন খরচ বেশি। তাই সামান্য লাভে বিক্রি করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।’

চট্টগ্রামের পশুর হাটে কুমিল্লা, ফেনী, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহী, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশির ভাগ পশু আসে। এবার চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলার ২২৮টি স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাটে গত ২৯ মে থেকে পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। নগরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ব্যবস্থাপনায় ১৩টি স্থায়ী-অস্থায়ী হাট বসেছে। এর মধ্যে বিবিরহাট, সাগরিকা ও নূরনগর হাউজিং সোসাইটির হাট বড়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, এবার পশুর চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। এর বিপরীতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি, যা গতবার ছিল ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯টি। উৎপাদিত পশুর মধ্যে গরু আছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৩টি। হাট মনিটরিংয়ে ৬৬টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ ল আজহ ক রব ন ওজন র

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরোধী: মির্জা ফখরুল
  • কাঁচাপাট রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেএ চেয়ারম্যানের
  • বাবাকে না পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে যায় শিশু, মুহূর্তে ট্রাকচাপায় নিহত
  • রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
  • ক্ষুব্ধ-বিরক্ত আঁখি বললেন, ভণ্ডামি থেকে মুক্তি চাই
  • ‘বয়স বাড়ছে, বুঝে ফেলি কে মিথ্যা বলে’—ফেসবুকে আঁখি আলমগীর