‘লিচুর বাগানে’র গীতিকার, কে এই ছত্তার পাগলা
Published: 6th, June 2025 GMT
‘লিচুর বাগানে’ গান নিয়ে উন্মাদনার মধ্যে নেত্রকোনার সংগীতশিল্পী ছত্তার তালুকদারের নাম সামনে আসছে, যিনি নিজেকে ছত্তার পাগলা বলে পরিচয় দিতেন।
পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় গানটি ব্যবহৃত হয়েছে। গানটি প্রকাশের পরপরই রীতিমতো আলোচনার ঝড় তুলেছে। সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড জানিয়েছে, ‘লিচুর বাগানে’ শিরোনামে মূল গানটির গীতিকার ছত্তার পাগলা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে, কে এই ছত্তার পাগলা? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাটি অঞ্চলের জনপ্রিয় শিল্পীদের একজন তিনি। ট্রেনে, স্টেশনে, বাজারের মজমায় ঘুরে ঘুরে গান করতেন।
২০১৪ সালের এপ্রিলে মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুর ১১ বছর পর ‘লিচুর বাগানে’ গানের সুবাদে আলোচনায় এলেন ছত্তার পাগলা। ভাটি অঞ্চল ছাপিয়ে দেশজুড়ে পরিচিতি পেলেন তিনি। ৮৭ বছরের জীবদ্দশায় কয়েক শ গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন তিনি।
ছত্তার পাগলা মুখে মুখে গান বাঁধতেন। খুব একটা লিখত–পড়তে পারতেন না। তাঁর কাছ থেকে শুনে শুনে অন্যরা গান লিখে রাখতেন। তাঁর বেশির ভাগ গান লিখে রেখেছেন আল মামুন চৌধুরী নামের একজন চিকিৎসক। মোহনগঞ্জের আল মামুনের চেম্বারে নিয়মিত আড্ডা দিতেন ছত্তার পাগলা।
আল মামুন চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, গানটি ছত্তার পাগলার রচিত। দশকের পর দশক ধরে তাঁর কণ্ঠে গানটি শুনেছেন ভাটি অঞ্চলের শ্রোতারা। ছত্তার পাগলার মৃত্যুর বছর তিনেক আগে তাঁর কাছ থেকে শুনে শুনে গানটি হাতে লিখে রেখেছিলেন তিনি।
ছত্তার পাগলার কাছে গানটির মর্মার্থ জানতে চেয়েছিলেন আল মামুন চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, ‘যত্নের লিচুর বাগান দুষ্টু ছাগলে খেতে আসে। ফলে বাগানে বেড়া দিয়েছেন।’ ঘেটু গানটিতে প্রতীকীভাবে প্রেমকে তুলে ধরেছেন তিনি।
২০১৪ সালের এপ্রিলে মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুর ১১ বছর পর ‘লিচুর বাগানে’ গানের সুবাদে আলোচনায় এলেন ছত্তার পাগলা।২০১৪ সালের এপ্রিলে মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুর ১১ বছর পর ‘লিচুর বাগানে’ গানের সুবাদে আলোচনায় এলেন ছত্তার পাগলা। ভাটি অঞ্চল ছাপিয়ে দেশজুড়ে পরিচিতি পেলেন তিনি। ৮৭ বছরের জীবদ্দশায় কয়েক শ গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন তিনি।
ছত্তার পাগলা মুখে মুখে গান বাঁধতেন। খুব একটা লিখত–পড়তে পারতেন না। তাঁর কাছ থেকে শুনে শুনে অন্যরা গান লিখে রাখতেন। তাঁর বেশির ভাগ গান লিখে রেখেছেন আল মামুন চৌধুরী নামের একজন চিকিৎসক। মোহনগঞ্জের আল মামুনের চেম্বারে নিয়মিত আড্ডা দিতেন ছত্তার পাগলা।
আল মামুন চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, গানটি ছত্তার পাগলার রচিত। দশকের পর দশক ধরে তাঁর কণ্ঠে গানটি শুনেছেন ভাটি অঞ্চলের শ্রোতারা। ছত্তার পাগলার মৃত্যুর বছর তিনেক আগে তাঁর কাছ থেকে শুনে শুনে গানটি হাতে লিখে রেখেছিলেন তিনি।
ছত্তার পাগলার কাছে গানটির মর্মার্থ জানতে চেয়েছিলেন আল মামুন চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, ‘যত্নের লিচুর বাগান দুষ্টু ছাগলে খেতে আসে। ফলে বাগানে বেড়া দিয়েছেন।’ ঘেটু গানটিতে প্রতীকীভাবে প্রেমকে তুলে ধরেছেন তিনি।
আরও পড়ুনফেসবুকে ভাইরাল ‘বল খেলাডা তওবা করে ছাড়’ গানের স্রষ্টা কে১৫ ডিসেম্বর ২০২২ছত্তার পাগলার মৃত্যুর বছর তিনেক আগে তাঁর কাছ থেকে শুনে শুনে গানটি হাতে লিখে রেখেছিলেন আল মামুন চৌধুরী।ছত্তার পাগলার মৃত্যুর বছর তিনেক আগে তাঁর কাছ থেকে শুনে শুনে গানটি হাতে লিখে রেখেছিলেন আল মামুন চৌধুরী.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ল ন আল ম ম ন চ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
ভাসানীরা না থাকলে শেখ মুজিব কখনো তৈরি হতেন না: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “ভাসানীরা না থাকলে শেখ মুজিব কখনো তৈরি হতে পারতেন না। বাংলাদেশে শুধু একজন জাতির পিতা নন, অনেক জাতির পিতা রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম মওলানা ভাসানী।”
তিনি বলেন, “মওলানা ভাসানী কৃষক ও শ্রমিকদের জন্য লড়াই করেছিলেন। তিনি গণমানুষের জন্য লড়াই করেছিলেন। মওলানা ভাসানীর আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি।”
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থান না হলে নির্বাচনের স্বপ্নই দেখতে পারতেন না: নাহিদ
‘পারলে শেখ হাসিনাকে পুশইন করুন’, ভারতের উদ্দেশে নাহিদ
নাহিদ বলেন, “আমরা এই সমাবেশে মওলানা ভাসানীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাইা। মওলানা ভাসানীকে ইতিহাসে স্মরণ করা হয় না। ভাসানীর মতো মহান রাজনৈতিক পুরুষ, বাংলাদেশের স্থপতি থাকা সত্ত্বেও শুধু একজনকে জাতির পিতা ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৫৪ বছর একজন ব্যক্তিকে পূজা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “মওলানা ভাসানী শুধু বাংলাদেশ নয়, উমহাদেশের রাজনৈতিক পুরুষ ছিলেন। তার রাজনীতি শুরু হয়েছিল আসামে। সেই আসামে তিনি বাঙালি মুসলিম কৃষকদের অধিকার ও তাদের ভূমির অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। সেই লড়াই এখন পর্যন্ত আসামের বাঙালি মুসলমান ও হিন্দুদের লড়তে হয়। সেখানে তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে পরিচিত হতে হয়।”
তিনি আরো বলেন, “মওলানা ভাসানী প্রথম ব্যক্তি যিনি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীদের বিদায় ঘোষণা করেছিলেন কাগমারী আন্দোলনের মাধ্যমে। মওলানা ভাসানী হচ্ছেন, এমন রাজনৈতিক পুরুষ যিনি স্বাধীনতার পরে বলেছিলেন ‘আমার পিঞ্জির ভেঙেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়, দিল্লির গোলামী করার জন্য নয়’।”
টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নামে জিআই পণ্যের স্বীকৃতির কড়া সমালোচনা করে এনসিপির এই নেতা বলেন, “তাঁত শিল্পকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে আমরা কৃষকদের সংগঠিত করতে চাই।”
সমাবেশে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক আজাদ খান ভাসানী , টাঙ্গাইল জেলার মুখ্য সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এনসিপির নেতারা টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশস্থল শহীদ মিনার চত্বরে যান।
এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টাঙ্গাইল শহরে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ