বিশ্ব দাবায় দল পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ
Published: 6th, June 2025 GMT
প্রথমবারের মতো বিশ্ব দাবা ফেডারেশন (ফিদে) আয়োজন করতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড র্যাপিড অ্যান্ড ব্লিটজ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ। ১০ থেকে ১৬ জুন ইংল্যান্ডের লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রতিযোগিতা।
টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের সব খরচ বহন করতে হয় সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনকে। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন শুরুতে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে নিবন্ধন করলেও শেষ পর্যন্ত কোনো দল পাঠাচ্ছে না। এ নিয়ে দাবা অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে—নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পরও কেন এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নেওয়া গেল না?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান সুমন প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটা স্পনসর এগিয়ে এসেছিল বলে আমরা অনেকটা দূর এগিয়ে যাই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে স্পনসর প্রতিষ্ঠান পিছটান দেওয়ায় আমরা দল পাঠাতে পারলাম না।’
টুর্নামেন্টটির নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি দলে সর্বোচ্চ ৯ জন খেলোয়াড় রাখা যাবে, খেলবে ৬ জন। এটি ওপেন বিভাগ, যেখানে নারী-পুরুষ যে কেউ অংশ নিতে পারবেন। তবে দলের মধ্যে অন্তত একজন নারী খেলোয়াড় থাকা বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে দলে এমন একজন খেলোয়াড় রাখতে হবে, যাঁর রেটিং কখনোই ২০০০-এর বেশি হয়নি।
আরও পড়ুনদাবা খেলা নিষিদ্ধ হলো আফগানিস্তানে১২ মে ২০২৫জানা গেছে, বাংলাদেশ দল চূড়ান্ত করেছিল ফেডারেশন। দলে রাখা হয়েছিল ইংল্যান্ডে অবস্থানরত গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবকে। সঙ্গে ছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ, মনন রেজা, তাহসিন তাজওয়ার, অনত চৌধুরী, মিনহাজ উদ্দিন, ওয়ালিজা আহমেদ ও ওয়াদিফা আহমেদ।
বিশ্ব দাবার এই নতুন উদ্যোগে অংশ না নেওয়াকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ হারানো বলেই মনে করছেন দেশের দাবাপ্রেমীরা। কারণ, ক্রিকেটের টি–টোয়েন্টির মতো র্যাপিড ও ব্লিটজ দাবা এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুনজোনাল দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওয়াদিফা এখন মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার, খেলবেন বিশ্বকাপেও১৮ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
করোনায় ঢাকায় একজনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে তিনজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মৃত ব্যক্তি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১টি নমুনা পরীক্ষা করে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ২২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনের। ২০২৪ সালে এই রোগে কেউ মারা যাননি। ২০২৩ সালে ৩৭ জন, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন রোগী মারা যান।