পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্যে আলাদাভাবে নজর কেড়েছে ‘উৎসব’। ছবিটি দেখতে ভিড় করছেন দর্শকেরা। দর্শকের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে শোর সংখ্যা বাড়িয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
ছবিটির নির্মাতা তানিম নূর প্রথম আলোকে জানান, আগামী পরশু থেকে স্টার সিনেপ্লেক্স ১৩টি শো চালাবে।
স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তির দিনে ৫টি শো চলেছে, পরদিন থেকে ৯টি করে শো চলেছে। আজ ১০টি ও আগামীকাল ১১টি করে শো চালাবে সিনেপ্লেক্স।
বড় তারকা, কমেডি আর নব্বইয়ের নস্টালজিয়া উসকে দেওয়া গান-ট্রেলার দিয়ে এরই মধ্যে আলোচনায় সিনেমাটি।
নির্মাতারা বলছেন, এটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বা সামাজিক সিনেমা। সিনেমার ট্যাগলাইনেও ব্যবহার করা হয়েছে, ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ।’ সিনেমার টিজার আর ট্রেলারে দেশের টেলিভিশন ও সিনেমার অনেক আলোচিত কাজ ও চরিত্রকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়েছে।
যেমন টিজারের শেষে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত চরিত্রের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘কী আশ্চর্য, লোকটা রেগে গেল কেন?’ ‘আজ রবিবার’ নাটকের দর্শকদের সংলাপটি চেনা চেনা মনে হতে পারে। নির্মাতা জানান, এমন আরও কিছু সংলাপ সিনেমায় আছে, যা দর্শকদের নিয়ে যেতে পারে ফেলে আসা সময়ে।
তারকাবহুল এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জাহিদ হাসান, আফসানা মিমি, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।