বহু বছর পর দর্শকেরা যেন নির্মল আনন্দের কোনো সিনেমা পেল। ঈদের মতো সর্বজনীন উৎসবে প্রেক্ষাগৃহে মা–বাবা-সন্তান, তথা পরিবার মিলে উপভোগ করার মতো সিনেমা ‘উৎসব’—সিনেমা দেখার পর এমনটাই বলছেন দর্শকেরা। দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সব জায়গায়ই ‘উৎসব’ সিনেমার প্রশংসা করছেন দর্শকেরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক দর্শক লিখেছেন, ‘গত ১০ বছরে এমন রিফ্রেশিং আর মন ভালো করে দেওয়া সিনেমা কবে দেখেছি, ঠিক মনে পড়ছে না। শুধু বাংলা না, যেকোনো ভাষার সিনেমা মিলিয়ে বলছি!’ আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘“উৎসব”দেখতে গেছিলাম। শুনেছিলাম পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মতো নির্মল আনন্দের সিনেমা। আসলেই তা–ই।’ এক দর্শক দাবি করেছেন, ‘আমি অনেক দিন পরে এত সুন্দর একটা বাংলা পারিবারিক সিনেমা হলে দেখেছি। সবাই খুব ভালো কাজ করেছেন।’ আরেক দর্শক নিজেই জানিয়েছেন, বহু বছর পর বাংলাদেশের কোনো সিনেমা নিয়ে শতভাগ ইতিবাচক সাড়া দেখছেন তিনি। তা–ও আবার সব ফ্যামিলি অডিয়েন্সের।

তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমা নিয়ে এমন আরও অসংখ্য প্রতিক্রিয়া, মন্তব্য, রিভিউ ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। স্টার সিনেপ্লেক্সের রাজধানীর প্রতিটি শাখায় প্রথম সপ্তাহে (৭-১২ জুন) সিনেমাটির অধিকাংশ শো হাউসফুল, কিছু শো প্রায় হাউসফুল। দর্শকদের এমন ভালোবাসা পাওয়ায় সিনেমাটি দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন সবাই। আর সে জন্যই দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সিনেপ্লেক্সে বাড়ানো হয়েছে সিনেমাটির শোর সংখ্যা। সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও সিনেমাটির পরিচালক নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।

উৎসব সিনেমার পোস্টার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জীবন বলে দেবে কোনটা করা বেশি জরুরি: অপি করিম

দেশীয় শোবিজের সু-অভিনেত্রীদের একজন অপি করিম। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সবার মধুর অভিযোগ, নিয়মিত কাজ করেন না। ছোট পর্দায় তাঁকে মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও বড় পর্দায় তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সবশেষ ‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল দেশের গুণী এই অভিনেত্রীকে। সেখানে ওপার বাংলার ঋত্বিক চক্রবর্তীর বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। বছর দুয়েক পর ‘উৎসব’ সিনেমা দিয়ে ফিরলেন বড় পর্দায়।

অভিনয়ে ফেরার আগেও নিজের ভেতরে কাজ করেছে সংশয়। নিজেই নিজের কাছে প্রশ্ন করেছেন বারবার। অপি করিম বলেন, ‘আমি এমনিতেই কাজ কম করি। সেই জায়গা থেকে নিজেকে নিয়ে কিছুটা সংশয়ে ছিলাম। দীর্ঘদিন অভিনয়ে না থাকলে দর্শক শিল্পীদের ভুলে যায়। নিজেকে প্রশ্ন করেছি; দর্শক আমাকে ভুলে গেল না তো? সিনেমা মুক্তির পর সেটা কেটে গেছে। কারণ, দর্শক আমাকে মনে রেখেছে। দর্শকের মনে আমি সেই জায়গাতেই আছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। একটা কাজ যখন দর্শকের ভালো লাগে, তখন আরও কাজ করার আগ্রহ জাগে।’

মাঝে বেশ লম্বা সময় অভিনয় থেকে থেকে দূরে ছিলেন অপি করিম। সময় দিয়েছেন শিক্ষকতায় ও নিজের আর্কিটেক্ট ফার্মে। তবে বর্তমানে শিক্ষকতায় খুব বেশি ব্যস্ততা নেই। তাই অভিনয়ে বেশি সময় দেওয়ার ইচ্ছে তাঁর।

অপি করিমের কথায়, ‘একটা সময় শিক্ষকতার কারণে অভিনয়ে কম সময় দিয়েছি। এখন শিক্ষকতা ফুল টাইম করছি না। আমার নিজস্ব একটা ফার্ম আছে, সেখানে সময় দেই। ফলে অভিনয়ে বেশি সময় দিতে পারছি। একেক সময় আপনার জীবন বা মনই বলে দেবে কোনটা করা বেশি জরুরি। সেই জায়গা থেকে এখন অভিনয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

তাঁর কথা শুনে বোঝা গেল, প্রকৃত একজন শিল্পীর যেমন অভিনয়ের ক্ষুধাটা থেকেই যায় তেমনি সেটা রয়ে গেছে অপির ভেতরেও। সেই জায়গা থেকে ভালো কনটেন্টের সঙ্গে যুক্ত হতে চান তিনি।

অপি করিমের ভাষ্য, ‘অভিনয় সব সময় করতে চাই। সব সময় ব্যাটে-বলে হয়ে ওঠে না। সিনেমার অনেক ধরন আছে। ‘উৎসব’ সিনেমাটি আমার মনের মতো। তাই এ সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। শুধু সিনেমা নয়, দেশের নাটক, ওটিটি কনটেন্টসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। আমি চাই দর্শক ভালো কনটেন্টগুলো দেখুক। আমরা অনেক কষ্ট করে কাজ করি। দর্শক যদি সেগুলো দেখেন, তাহলেই আমাদের কষ্টের সার্থকতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভালোবাসার ফ্রেমে মেহজাবীন-রাজীব, পেছনে আইফেল টাওয়ার
  • জীবন বলে দেবে কোনটা করা বেশি জরুরি: অপি করিম
  • ‘উৎসব’ কেন দেখতেই হবে
  • ‘উৎসব’–এর শো বাড়ল
  • দর্শক হিসেবে সিনেমাটি দেখে মনে হয়েছে পয়সা উসুল: জয়া
  • ‘উৎসব’-এ আমরা কয়েকজন শুধু যোদ্ধা হিসেবে ছিলাম: অপি করিম
  • আমরা কয়েকজন শুধু যোদ্ধা হিসেবে ছিলাম: অপি করিম
  • হঠাৎ তুমুল আলোচনায় জয়া 
  • ঈদে উৎসবে দাঁতের সমস্যায়