কুমিল্লার বুড়িচংয়ে উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ফেসবুকে ছবি ও শরীরের পোশাক দেখে বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি শনাক্ত করেছেন পরিবারের লোকজন। নিহত ব্যক্তির নাম ফয়েজ আহাম্মদ। তিনি বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আব্দুল মুনাফের ছেলে। গত শনিবার কোরবানির ঈদের আগের রাতে নিখোঁজ হন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গত সোমবার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বাকশীমূল এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় লাশটি আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছবি দেখে ফয়েজের স্ত্রী রোকসানা জান্নাত ও পরিবারের লোকজন লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।

রোকসানা জান্নাত সাংবাদিকদের জানান, ফয়েজ আহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে অর্থসংকটে ভুগছিলেন। তিনি একটি এনজিও থেকে চার লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ না করাসহ আর্থিক অসচ্ছতলতার কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। কোরবানির ঈদের আগের দিন রাতে (শুক্রবার রাতে) খাবার খেয়ে স্থানীয় রেললাইনের পাশে একটি ঈদগাহ পাহারা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। পরদিন ঈদগাহ কমিটির লোকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানায়, তিনি (ফয়েজ) ঈদগাহ পাহারা দিতে যাননি। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। তিন দিন পর ফেসবুকে লাশের ছবি দেখে থানায় গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, গত সোমবার লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের সঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে। এ বিষয়ে বুড়িচং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা