ফেসবুকে ছবি দেখে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ শনাক্ত
Published: 12th, June 2025 GMT
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ফেসবুকে ছবি ও শরীরের পোশাক দেখে বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি শনাক্ত করেছেন পরিবারের লোকজন। নিহত ব্যক্তির নাম ফয়েজ আহাম্মদ। তিনি বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আব্দুল মুনাফের ছেলে। গত শনিবার কোরবানির ঈদের আগের রাতে নিখোঁজ হন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গত সোমবার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বাকশীমূল এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় লাশটি আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছবি দেখে ফয়েজের স্ত্রী রোকসানা জান্নাত ও পরিবারের লোকজন লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।
রোকসানা জান্নাত সাংবাদিকদের জানান, ফয়েজ আহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে অর্থসংকটে ভুগছিলেন। তিনি একটি এনজিও থেকে চার লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ না করাসহ আর্থিক অসচ্ছতলতার কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। কোরবানির ঈদের আগের দিন রাতে (শুক্রবার রাতে) খাবার খেয়ে স্থানীয় রেললাইনের পাশে একটি ঈদগাহ পাহারা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। পরদিন ঈদগাহ কমিটির লোকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানায়, তিনি (ফয়েজ) ঈদগাহ পাহারা দিতে যাননি। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। তিন দিন পর ফেসবুকে লাশের ছবি দেখে থানায় গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, গত সোমবার লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের সঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে। এ বিষয়ে বুড়িচং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় ২৬ জুলাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সুব্রত কুমার বিশ্বাস পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সান্ধ্যকালীন (ইভিনিং) স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু পরে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রীটি ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিভাগের প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ওই বছরের ৯ অক্টোবর শিক্ষক সুব্রতকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্ত করে। তদন্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর তদন্ত কমিটি তাঁকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের ভিত্তিতেই রিজেন্ট বোর্ড বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম আবদুল আওয়াল প্রথম আলোকে বলেন, রিজেন্ট বোর্ডে একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আইন অনুযায়ীই হয়েছে।