সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পর নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। দেশের মাটিতে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ২-১ গোলে হারের পর জাতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নানা আলোচনা চলছে সমর্থক মহলে। ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ স্প্যানিশ এই কোচের কার্যকারিতা নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ জানিয়েছেন।

আজ শনিবার (১৪ জুন) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় কাবরেরাকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জাতীয় দল কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘আমি কোচ কাবরেরার পদত্যাগ চাই। আমাদের মূল লক্ষ্য—১৮ কোটি মানুষকে হাসাতে পারা, সেই জন্যই এই পরিবর্তন দরকার।’’

তবে বিষয়টি এখনো পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাবরেরার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আগামী জাতীয় দল কমিটির সভায় সিঙ্গাপুর ম্যাচে দলের দুর্বল পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা চাইতে পারেন কর্মকর্তারা।

আরো পড়ুন:

হামজা-শমিত-ফাহমিদুলকে রেখে বাংলাদেশের দল ঘোষণা

রাতে পুনরায় বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট ছাড়বে বাফুফে

উল্লেখ্য, কাবরেরার বর্তমান চুক্তি ২০২৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে। ফলে তাকে মাঝপথে বাদ দিতে হলে ফেডারেশনকে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হতে পারে। এ কারণে আপাতত তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে যাচ্ছে না বাফুফে।

সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি বেশ টালমাটাল। কোচকে ঘিরে বিতর্ক, সমর্থকদের চাপ এবং খেলার ফলাফলের হতাশা—সব মিলিয়ে কাবরেরার দিনগুলো এখন অনেকটাই অনিশ্চয়তার ছায়ায় ঢাকা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক বর র র

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ প্র্যাকটিস ছাড়াই শান্তদের লঙ্কাযাত্রা 

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসরে নিজেদের প্রথম সিরিজ খেলার জন্য কাল শ্রীলঙ্কা যাবেন শান্তরা। গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজে প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

লঙ্কার কন্ডিশন মাথায় রেখে প্রস্তুতির ভেন্যু নির্বাচন না করা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ না খেলা সমালোচনার আগুনে ঘি ঢেলেছে। অথচ ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ চাইলেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টাইগার্স বা এইচপির সঙ্গে চার বা তিন দিনের একটি ম্যাচ খেললে ভালো হতো বলে মনে করেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

দক্ষিণ আফ্রিকা হাইপারফরম্যান্স দলের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স দল। নান্নু মনে করেন, ‘এইচপি বা টাইগার্সের সঙ্গে তিন দিনের একটি ম্যাচ খেললে ভালো হতো। ওখানে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকত ‘ম্যাচ সিনারিও’ অনুশীলে তা থাকে না। এইচপির সঙ্গে ম্যাচ হলে উভয় দলের খেলোয়াড়রা জেতার জন্য মরিয়া হয়ে খেলত। ছোটদের কাছে হার এড়াতে একাগ্র থাকত জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। এভাবে কেন চিন্তা করেনি বা সুযোগ নেয়নি, জানি না।’

কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ দলের বিদেশ সফরে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চল উঠে গেছে। ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোথাও লাল বলের প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল না টাইগারদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ খেলার আগে কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ রাখেনি। ঈদ পালনের পর দেরি করে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকার পরিবর্তে গলে বা কলম্বোয়ও অনুশীলনের সুযোগ নেয়নি বিসিবি। সেদিক থেকে স্বদেশি কোনো দলের সঙ্গে একটি চার দিনের ম্যাচ খেলা গেলে ভালো হতো বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাজিলে আলোকাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • ব্রাজিলে আলো কাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির 
  • ম্যাচ প্র্যাকটিস ছাড়াই শান্তদের লঙ্কাযাত্রা