শরীরের পাঁচ থেকে সাতটি অঙ্গ একসঙ্গে ব্যথা হয় যে কারণে
Published: 15th, June 2025 GMT
চল্লিশ বছরের বেশি বয়স হলেই বেশির ভাগ মানুষ একটি কমন সমস্যায় ভুগে থাকেন-তাহলো সারা শরীরের বেশিরভাগ অঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়া। এই সমস্যা রোগীর মানসিক অবসাদ বাড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়িয়ে দেয়। অনেক সময় নার্ভ অধিক সেনসেটিভ হওয়ার ফলে কম বয়সীরাও এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। একসঙ্গে শরীরের পাঁচ থেকে সাতটি অঙ্গ ব্যথা হওয়া ফাইব্রোমায়ালজিয়ার লক্ষণ হতে পারে।
ডা.
ফাইব্রোমায়ালজিয়ার লক্ষণ:
আরো পড়ুন:
দশ সেকেন্ডে একবার চোখের পলক ফেলা জরুরি কেন?
করোনাভাইরাস
বাড়ছে সংক্রমণ, মাস্ক ব্যবহারসহ ১১ নির্দেশনা দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
১. সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে খুন ক্লান্ত অনুভব
২. মনে হতে পারে ঘুম ঠিক মতো হয়নি
৩. শর্ট টাইম মেমোরি লস
৪. মাংসপেশীতে ব্যথা
৫. হাত-পা ব্যথা
৬. হাত-পা জ্বালাপোড়া করা
৭. মাথার চুল পড়ে যাওয়া
৮.শ্বাসকষ্ট
৯ শরীরে র্যাশ দেখা দেওয়া
১০. পেটে মোচর দিয়ে ব্যথা
১১. বমিভাব
ডা. ঋতুপর্ণা দাশ আরও বলেন, ‘‘শরীরের বিভিন্ন অংশে তীব্র ব্যথার কারণে অবসাদ ভাব লাগতে পারে। অবসাদগ্রস্ত হয়ে কাউকে বোঝাতেও পারবেন না, ব্যথাটা ঠিক কতটা তীব্র। এই অবস্থায় কিছু ডায়াগনোসিস দরকার হতে পারে। এবং গ্রেডেড এক্সারসাইজ করা লাগতে পারে। অর্থাৎ আপনাকে ধীরে ধীরে বা অল্প সময়ে এক্সারসাইজ করতে হবে, আস্তে আস্তে বাড়াতে হবে। শরীরের মুভমেন্ট বাড়ানোর জন্য হাঁটাচলা করা, ডান্সিং করা-এগুলো করলে ব্যথা কমবে। নার্ভের সেনসিটিভিটি কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।’’
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।