খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমকে প্রহার করে চোখ নষ্টের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আজ রবিবার (১৫ জুন) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে খুলনা মহানগর দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে নেয়ার আগে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসান আল মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম এরং আম নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগানও দেয়। পরে বিএনপি নেতাদের শান্ত রাখার জন্য সেনা ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা টহল দেয়।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ
মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম জানান, মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার (১৫ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি হাসান আল মামুন নিজে বিএনপি নেতা ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ অকেজো হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ স ন আল ম ম ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
জাল টাকা দিয়ে কেনাকাটা, কৃষক দল নেতাকে পুলিশে দিলেন দোকানিরা
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ২৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ মো. নুর আলম (৩৫) নামের কৃষক দলের স্থানীয় এক নেতাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন দোকানিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজার থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
মো. নুর আলম নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নম্বর পূর্ব চর মটুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চর মটুয়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কৃষক দলের পদে থাকার বিষয়টি পূর্ব চর মটুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল হুদা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজারের একটি মুদিদোকান থেকে সুজি কিনে এক হাজার টাকার একটি নোট দেন নুর আলম। দোকানদারের কাছ থেকে অবশিষ্ট টাকা ফেরত নিয়ে তিনি দ্রুত চলে যান। দোকানদার সন্দেহবশত এক হাজার টাকার নোটটি পরীক্ষা করে দেখেন, এটি জাল। এরপর তিনি আশপাশের দোকানিদের বিষয়টি জানান। এ সময় দোকানিরা জড়ো হয়ে বাজারের একটি রাস্তা থেকে নুর আলমকে আটক করলে তিনি জাল নোট দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাঁর কাছে আরও ২৩ হাজার টাকার জাল নোট পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নুর আলমকে থানায় নিয়ে যায়।
চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, রাতে নুর আলমের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। জাল নোট চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।