শিক্ষক খুশি হয় তখনই যখন তার শিক্ষার্থীরা তাকে টপকিয়ে যায় : প্রফেসর ডা. আখতার খাঁন
Published: 16th, June 2025 GMT
স্টেট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রেফেসর ডা. মো. আখতার হোসেন খাঁন বলেছেন, একজন শিক্ষক খুশি হয় তখনই যখন তার শিক্ষার্থীরা তাকে টপকিয়ে যায়। কিন্তুু অন্য কোন প্রেফেশনের কোন লোকজন চায় না তাকে কেউ টপকিয়ে যাক।
আমরা যারা শিক্ষক আছি আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের চেয়েও বেশি নাম করুক, আমাদেরচেয়েও ভালো করুক। সেখানেই কিন্তুু শিক্ষকদের সার্থকতা।
আমি বিশ^াস করি গিয়াসউদ্দিন ইসলামকি মডেল কলেজে যারা শিক্ষকতা করছেন তারা কিন্তুু চায় তোমরা সবাই তাদের চেয়েও ভালো জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হবে, সেই দোয়াই তারা করেন।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলস্থ গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের এইচ,এস,সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, একজন ভাস্কর যখন কাদামাটি দিয়ে একটা ভাষ্কর্য বানায় সে কিন্তুু চিন্তা করে আমার এই ভাস্কর্য যেন পৃথিবীর সেরা ভাস্কর্য হয়, শিক্ষকরাও কিন্তুু তাই চান, যে তোমাদের কে গড়ে তোলার পরে তোমরা যেন দেশে বিদেশে নাম করতে পারো, সেটাই তাদের সার্থকতা, সেটাই তাদের সফলতা।
তোমাদের দায়ীত্ব হচ্ছে যারা তোমাদের কে গড়ে তুলবেন তাদের কে সম্মান জানানো, বাসায় যেমন তোমাদের মা,বাবা কে সম্মান করো, তোমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে তোমাদের শিক্ষক, শিক্ষীকাদের কেও তোমরা ভাববে এরা তোমাদের মা-বাবা এরা তোমাদের অভিভাবক।
সভাপতির বক্তব্য গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, তোমরা যারা শিক্ষার্থী তারা ১২ বছর অধ্যায়ন করেছ, জ্ঞান অর্জন করেছো, এর পর আরো জ্ঞান অর্জন করার জন্য চেষ্টা করবে। অর্জিত জ্ঞান তোমরা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে, সর্বচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।
সবচাইতে মূল্যবান কাজ হচ্ছে যে মহান স্রষ্টা তোমাকে ,আমাকে সৃষ্টি করেছেন, এমন একটা লক্ষ উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সেই লক্ষ,উদ্দেশ্য বাস্তাবায়নের জন্য সেইটা সর্ব উত্তম যে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মহান স্রাষ্টা। এই অর্জিত জ্ঞানদ্বারা মহান স্রষ্টার আদেশ নিষেদ গুলো মানা এবং সেই কাজ গুলো করা।
গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উপাধ্যক্ষ মীর মোসাদ্দেক হোসেনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রেফেসর শাহ রেজা এম ফরহাদ হোসেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন সিদ্ধিরগঞ্জের মিনার মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বীপী।
অনুষ্ঠনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আলি আকবর খাঁন, আবুল হোসেন, দৈনিক অগ্রাবানী পত্রিকার সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, শিশির ঘোষ অমর, রিফাত হোসেন, রাজিব আহমেদ, শিক্ষক আবু তালেব, আবু তাহের, উমর ফারুকসহ আরো অনেকে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ য় সউদ দ ন ইসল ম অন ষ ঠ কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করার লক্ষ্যে নতুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আইন উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের আগে একটা মানবাধিকার কমিশন ছিল, কিন্তু সেটি কার্যত দন্তহীন একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। নিয়োগ পদ্ধতিতে ত্রুটি, এখতিয়ারে ঘাটতি এবং নেতৃত্বের দুর্বলতায় প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। এবার সেটিকে সত্যিকারের এখতিয়ারসম্পন্ন, ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।”
তিনি জানান, নতুন অধ্যাদেশে মানবাধিকার কমিশনের কাঠামো, এখতিয়ার ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। কমিশন একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য নিয়ে গঠিত হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা নিশ্চিত করতে আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করা হবে এবং প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বাছাই কমিটি সুপারিশ করবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, “আমরা নিয়োগ পদ্ধতিটা এমনভাবে করেছি যাতে অভিজ্ঞ, যোগ্য ও মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় মানুষরা কমিশনে জায়গা পান।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ কর্তৃক অনুসমর্থিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি এবং প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত মানবাধিকারগুলোকেও এই কমিশনের এখতিয়ারে আনা হয়েছে। এর ফলে কমিশন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করতে পারবে।”
অধ্যাদেশে কমিশনের এখতিয়ার বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে শৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাতেও কমিশন তদন্ত করতে পারবে। আইন উপদেষ্টা বলেন, “আগের কমিশনের এখতিয়ারে গুরুতর সীমাবদ্ধতা ছিল, বিশেষ করে শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে। এবার সেই সীমাবদ্ধতা দূর করা হয়েছে।”
এছাড়া, গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা আইনসহ মানবাধিকার সংরক্ষণমূলক যেকোনো আইনের বাস্তবায়নের দায়িত্ব মানবাধিকার কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। আলাদা করে ‘গুম কমিশন’ গঠনের প্রয়োজন হবে না বলে তিনি জানান।
অধ্যাদেশে কমিশনের আদেশ প্রতিপালনকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, “এখন থেকে কমিশনের সুপারিশ বা নির্দেশ উপেক্ষা করা যাবে না। এর বাধ্যবাধকতা আইনি কাঠামোয় যুক্ত করা হয়েছে।”
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।
ঢাকা/এসবি