স্টেট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রেফেসর ডা. মো. আখতার হোসেন খাঁন বলেছেন, একজন শিক্ষক খুশি হয় তখনই যখন তার শিক্ষার্থীরা তাকে টপকিয়ে যায়। কিন্তুু অন্য কোন প্রেফেশনের কোন লোকজন চায় না তাকে কেউ টপকিয়ে যাক।

আমরা যারা শিক্ষক আছি আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের চেয়েও বেশি নাম করুক, আমাদেরচেয়েও ভালো করুক। সেখানেই কিন্তুু শিক্ষকদের সার্থকতা।

আমি বিশ^াস করি গিয়াসউদ্দিন ইসলামকি মডেল কলেজে যারা শিক্ষকতা করছেন তারা কিন্তুু চায় তোমরা সবাই তাদের চেয়েও ভালো জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হবে, সেই দোয়াই তারা করেন।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলস্থ গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের এইচ,এস,সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন। 

এসময় তিনি আরো বলেন, একজন ভাস্কর যখন কাদামাটি দিয়ে একটা ভাষ্কর্য বানায় সে কিন্তুু চিন্তা করে আমার এই ভাস্কর্য যেন পৃথিবীর সেরা ভাস্কর্য হয়, শিক্ষকরাও কিন্তুু তাই চান, যে তোমাদের কে গড়ে তোলার পরে তোমরা যেন দেশে বিদেশে নাম করতে পারো, সেটাই তাদের সার্থকতা, সেটাই তাদের সফলতা। 

তোমাদের দায়ীত্ব হচ্ছে যারা তোমাদের কে গড়ে তুলবেন তাদের কে সম্মান জানানো, বাসায় যেমন তোমাদের মা,বাবা কে সম্মান করো, তোমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে তোমাদের শিক্ষক, শিক্ষীকাদের কেও তোমরা ভাববে এরা তোমাদের মা-বাবা এরা তোমাদের অভিভাবক।

সভাপতির বক্তব্য গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, তোমরা যারা শিক্ষার্থী তারা ১২ বছর অধ্যায়ন করেছ, জ্ঞান অর্জন করেছো, এর পর আরো জ্ঞান অর্জন করার জন্য চেষ্টা করবে। অর্জিত জ্ঞান তোমরা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে, সর্বচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।

সবচাইতে মূল্যবান কাজ হচ্ছে যে মহান স্রষ্টা তোমাকে ,আমাকে সৃষ্টি করেছেন, এমন একটা লক্ষ উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সেই লক্ষ,উদ্দেশ্য বাস্তাবায়নের জন্য সেইটা সর্ব উত্তম যে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মহান স্রাষ্টা। এই অর্জিত জ্ঞানদ্বারা মহান স্রষ্টার আদেশ নিষেদ গুলো মানা এবং সেই কাজ গুলো করা। 

গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উপাধ্যক্ষ মীর মোসাদ্দেক হোসেনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রেফেসর শাহ রেজা এম ফরহাদ হোসেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন সিদ্ধিরগঞ্জের মিনার মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বীপী।

অনুষ্ঠনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আলি আকবর খাঁন, আবুল হোসেন, দৈনিক অগ্রাবানী পত্রিকার সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, শিশির ঘোষ অমর, রিফাত হোসেন, রাজিব আহমেদ, শিক্ষক আবু তালেব, আবু তাহের, উমর ফারুকসহ আরো অনেকে।      
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ য় সউদ দ ন ইসল ম অন ষ ঠ কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় বিএনপির দুই নেতাকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রোববার রাতে তাঁদের নিজ নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়।

তবে আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হেলাল উদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক অপরজন হলেন উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নতুন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পারভেজ আহমেদ।

এ বিষয়ে গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) ফারুক বলেন, ওই দুজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ থাকায় আটক করা হয়েছে। হেলাল উদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পারভেজ আহমেদ এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, গাজীপুর জেলা বিএনপি সম্প্রতি কালিয়াকৈর উপজেলা, পৌরসভা ও জেলার আটটি ইউনিটের কমিটি বাতিল করে। এরপর তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা আহ্বায়ক কমিটি। গত শনিবার সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয় মৌচাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সিকদারকে এবং সদস্যসচিব করা হয় এম আনোয়ার হোসেনকে। পৌর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয় মামুদ সরকারকে এবং সদস্যসচিব করা হয় মহসিন উজ্জামানকে। দুই কমিটিতে মোট ৪১ জন সদস্য রয়েছেন।

পৌর বিএনপির কমিটি নিয়ে আপত্তি না থাকলেও উপজেলা কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ ও তাঁর সমর্থকেরা। তাঁরা শনিবার রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পারভেজ আহমেদের পক্ষে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। একই সময় নতুন কমিটির পক্ষ থেকেও একটি মিছিল বের হয়।

এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

আরও পড়ুনকালিয়াকৈরে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া২১ ঘণ্টা আগে

পরে গতকাল রাতে কালিয়াকৈর থানা ও গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে সাহেববাজার এলাকা থেকে হেলাল উদ্দিন এবং হিজলতলী এলাকা থেকে পারভেজ আহমেদকে আটক করা হয়।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান বলেন, ‘আটকের বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। সম্ভবত রাতে একটি অভিযোগ হয়েছে। বিস্তারিত অভিযোগ দেখে বলা যাবে।’

গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে ছাড়া পেয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, কালিয়াকৈর বিএনপির মধ্যে কিছু খারাপ লোক রয়েছে, যারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল। তাঁরা এখন তিন বছর ধরে রাজনীতিতে আসা এক নেতার আশ্রয় নিয়েছেন। এতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কখন ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে, সেই আতঙ্কে দিন কাটছে তেহরানের মানুষের
  • ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র কেড়ে নিল তরুণ ইরানি কবি আর তাঁর পুরো পরিবারকে
  • চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু
  • আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস
  • হামজাদের কোচিং স্টাফ বাড়ছে
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, স্পষ্ট বার্তা দিলেন অপু
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আমি নেই: অপু বিশ্বাস
  • শালবনে ছেচরা কই ও পাটখই
  • কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন