সিদ্ধিরগঞ্জে সজল হত্যা, ২ দিনের রিমান্ডে আইভী
Published: 18th, June 2025 GMT
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সিদ্ধিরগঞ্জে সজল হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসাথে ফতুল্লার একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার (১৮ জুন) সকালে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঈনুদ্দিন কাদিরের আদালত দুটি মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতের শুনানিতে অংশ নেন ডা.
আদালত সূত্রে জানা যায়, সজল হত্যা মামলায় তদন্তের স্বার্থে আইভীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এসময় আইভীর আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে ফতুল্লা থানার সাঈদ হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশ আইভীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা অনুমোদন করেন।
এ বিষয়ে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান বলেন, দুটি মামলার শুনানি শেষে বিচারক যথাক্রমে রিমান্ড ও শ্যোন অ্যারেস্টের আদেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে আইভীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন বলেন, দুটি মামলার এজাহারে আইভীর কোনো সরাসরি সম্পৃক্ততার বর্ণনা নেই। শুধু হয়রানি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের শত্রুতার কারণেই তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর ও জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম দেওভোগের নিজ বাসা থেকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে তাকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।
তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মোট ছয়টি মামলা রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আইভ র
এছাড়াও পড়ুন:
যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই বিয়ে করেন দুজন ব্যক্তি; কিন্তু একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পর সবচেয়ে আপন এই মানুষের সঙ্গেও নানা কারণে তৈরি হয় মতবিরোধ। এক কথা, দুই কথায় বাধে ঝগড়া। বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে, স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া আসলে এক জায়গায় রাখা দুটি বাসনের ঠোকাঠুকির মতো। এগুলো জীবনেরই অংশ; কিন্তু এই ঠোকাঠুকি বাড়তে দিলেই বিপত্তি। তাই দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া কমিয়ে আনতে চাইলে প্রথমে মতবিরোধের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বজুড়ে কী কারণে দাম্পত্যে ঝগড়া হয় বেশি, চলুন আগে সেটিই জেনে নেওয়া যাক।
১. বোঝাপড়ার অভাবনাবিলা ও রাফি (ছদ্মনাম) দুজনেই চাকরিজীবী। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে ক্লান্ত নাবিলা আশা করেন, স্বামী তাঁর কাছে জানতে চাইবেন সারা দিন কেমন কাটল। কিন্তু তা না করে চুপচাপ নিজের মনে ফোন স্ক্রল করেন রাফি।
স্বামীর এমন আচরণে কষ্ট পান নাবিলা। অন্যদিকে রাফি ভাবেন, সারা দিন কাজের পর স্ত্রীর হয়তো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, ও একটু নিজের মতো থাকুক। দুজনের চাওয়া ভিন্ন। এভাবে নিজের প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে দিনের পর দিন কাটাতে থাকলে মনের ভেতর ক্ষোভ জমা হতে থাকে।
আবার বাসার বাড়তি বিল নিয়ে রাফি যখন চিন্তিত, সেটিকে পাত্তা না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দিলেন নাবিলা। এভাবে অপর পক্ষকে কষ্ট দিতে না চেয়েও কষ্ট দিচ্ছেন তাঁরা। দাম্পত্য কলহ নিয়ে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান জানান, ৬৯ শতাংশ বৈবাহিক দ্বন্দ্বের কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।
আরও পড়ুনধনীদের ৮টি অভ্যাস, যা মধ্যবিত্তদের চোখে ধরা পড়ে না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. অর্থনৈতিক হিসাবএকজন বাইরে খেতে ভালোবাসেন, অন্যজন সঞ্চয়ে বিশ্বাসী। আর এতেই বাধে বিপত্তি। এ ছাড়া দুজনেই আয় করলে কে কোন খাতে ব্যয় করবেন, তা নিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য বিচ্ছেদ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।
অভিজ্ঞতার আলোকে এই আইনজীবী বলেন, ‘কেউ নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে অন্যের দিকটা ভাবছেন না, কেউ আবার নিজের ইচ্ছা–অনিচ্ছায় ক্রমাগত ছাড় দিয়েই যাচ্ছেন। সংসারে বারবার একপক্ষীয় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যিনি ছাড় দিচ্ছেন, তাঁর মনে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়, যা একসময় বড় ঝগড়ায় রূপ নেয়।’
এ ছাড়া ছোটখাটো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে, টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া করা দম্পতিদের ৩০ শতাংশই সম্পর্কে খুশি থাকেন না।
৩. সময় না দেওয়াসঙ্গীকে সময় না দিলে দ্বন্দ্ব বাড়ে