বাংলাদেশ–পাকিস্তানকে নিয়ে চীনের নতুন ত্রিপক্ষীয় জোট
Published: 21st, June 2025 GMT
ব্যবসা, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য, পানিসম্পদসহ নানা খাতে সহযোগিতা নিবিড় করতে বাংলাদেশ–পাকিস্তান নিয়ে নতুন ত্রিপক্ষীয় জোট গঠন করেছে চীন। ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনায় এ জোট গঠন করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেইজিং ও ইসলামাবাদ থেকে প্রকাশিত দুই দেশের বিবৃতির বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এ খবর জানিয়েছে।
বেইজিং ও ইসলামাবাদের শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি বিবৃতি অনুসারে, চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একাধিক ক্ষেত্রে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। এ সপ্তাহে চীনের কুনমিং শহরে এই তিন দেশ তাদের প্রথম ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করেছে।
ইউনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত তিন দেশের বৈঠকে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং, বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী ও পাকিস্তানের অতিরিক্ত সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ ভিডিও লিংকের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেশীসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি, সমতা ও পারস্পরিক বিশ্বাস, উন্মুক্ততা ও অন্তর্ভুক্তি, অভিন্ন উন্নয়ন ও সবার সুফলের সহযোগিতা’ নীতির ভিত্তিতে সহযোগিতা প্রচারের জন্য তিন পক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিন দেশ বাণিজ্য, শিল্প, সমুদ্রবিষয়ক, পানিসম্পদ, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যুব সম্পৃক্ততা, সংস্কৃতি ও চিন্তন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতাসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে যৌথ প্রকল্প খুঁজে দেখতে সম্মত হয়েছে। সম্মত উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় কর্মী গোষ্ঠী গঠন করা হবে। এ সহযোগিতার লক্ষ্য তিন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
তিন দেশের বৈঠকে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং, বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী ও পাকিস্তানের অতিরিক্ত সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রসচ ব সহয গ ত
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কর্মসূচিতে টেকনাফে বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল-সমাবেশ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে বিএনপির দুটি পক্ষ পৃথকভাবে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ও বিকেলে এসব কর্মসূচি পালনের সময় দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিষোদ্গার করে। এতে নেতা-কর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও হতাশা তৈরি হয়।
দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকায় প্রথম শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা ও পৌর বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। তিনি শোভাযাত্রায় নেতৃত্বও দেন।
পরে বিকেল চারটার দিকে একই স্থানে পৃথক সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করে বিএনপির অপর একটি অংশ। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শাহজাহান চৌধুরী ও আবদুল্লাহর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। যদিও বর্তমানে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছেন শাহজাহান চৌধুরীর অনুসারীরা। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসন থেকে শাহজাহান চৌধুরী ১৯৯১, ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি হুইপও ছিলেন।
দুপুরে শাহজাহান চৌধুরীর অনুসারীদের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাসান সিদ্দিকী। বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা হারালেও টেকনাফে দুর্নীতি, মাদক ও চাঁদাবাজি থেমে নেই।’ তিনি অভিযোগ করেন, ওসি প্রদীপের আমলে টেকনাফে ‘ক্রসফায়ারের রাজত্ব’ কায়েম হয়েছিল।
শাহজাহান চৌধুরী দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনে গড়িমসি হলে অসহযোগ আন্দোলনসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘৪০ বছর ধরে আমি আপনাদের সেবা করে আসছি। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে তারেক রহমানকে শক্তিশালী করতে হবে।’
টেকনাফে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহর অনুসারীদের মিছিল। আজ বিকেলে