২০১৭ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি ভারতের করুন নায়ারের। নিজের তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন করুন। এরপর খুব একটা ভালো সময় যায়নি তার। বাদ পড়ে যান দল থেকে।
এরপর কেবল অপেক্ষা ও অপেক্ষা। সেই অপেক্ষা অবশেষে ফুরাল ৮ বছর পর। লম্বা সময় পর ডানহাতি ব্যাটসম্যানের আবার সুযোগ আসল জাতীয় দলে। সম্প্রতি ব্যাট হাতে অসাধারণ সব ইনিংস খেলেছেন করুন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সব প্রতিযোগিতায় রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে।
লিডসে ‘টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন’ সিরিজের প্রথমটিতে তাকে নিয়ে মাঠে নেমেছে ভারত। আজ ব্যাটিংয়ের সুযোগ হতে পারে। এই ম্যাচে একাদশে ফিরে অন্য রকম এক রেকর্ডে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন করুন। দুই সময়ের মাঝে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিস করার রেকর্ড এখন তারই দখলে।
আরো পড়ুন:
গিল যুগের শুরুতেই আক্রমণাত্মক বার্তা
গলে শেষ রোমাঞ্চের অপেক্ষা
২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত মোট ৪০২ ম্যাচ মিস করেছেন করুন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ও ফেরার মাঝে এতো বেশি ম্যাচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোনো ক্রিকেটার করেননি।
তালিকায় তার পরে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রায়ান এমরিট (৩৯৬), ইংল্যান্ডের জো ডেনলি (৩৮৪), ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্লয়েড রেইফার (৩৮০) ও শ্রীলঙ্কার মাহেলা উদাওয়াট্টে (৩৭৪)।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারকের ছেলে হত্যা: লিমন ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় প্রবেশ করে তার ছেলেকে হত্যা এবং স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি লিমন মিয়ার (৩৪) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরো পড়ুন:
আশরাফুলের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন কোহিনূর: র্যাব
রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তিনি আরো জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাধীন লিমন মিয়াকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয়। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর থেকে তাকে আদালতের হাজতে রাখা হয়। দুপুর ২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত থেকে তাকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাচেষ্টার ঘটনার ব্যাপারে লিমন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার শহরের তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় আকস্মিক প্রবেশ করেন গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা লিমন মিয়া। এরপর তিনি বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৫) ছুরিকাঘাতে ও শ্বাসরোধে খুন করেন। লিমন মিয়ার ছুরিকাঘাতে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসি (৪৪) আহত হন। এ সময় ধ্বস্তাধ্বস্তিতে হামলাকারী লিমন মিয়াও আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিজে বাদী হয়ে লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। আসামি এ হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/বকুল