পটুয়াখালীতে অনাথ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
Published: 24th, June 2025 GMT
পটুয়াখালীতে ১৩ বছরের এক অনাথ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির খালা বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। পরে আদালতের বিচারক নিলুফার শিরিন সদর থানা-পুলিশকে মামলাটি রুজুর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী উম্মে আসমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১৩ বছরের ওই শিশু কিছুটা প্রতিবন্ধী। ২০ জুন জেলা শহরের একটি সরকারি আবাসনে সে ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ২১ বছর বয়সী এক তরুণকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই তরুণ পলাতক।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি পটুয়াখালীর একটি সরকারি আবাসনে শিশুটিকে নিয়ে বসবাস করেন। বেশ কিছুদিন ধরে একই আবাসনের ওই তরুণ নানাভাবে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করতেন। এরপর ২০ জুন বিকেল ৫টার দিকে কৌশলে শিশুটিকে নিজ বসতঘরে ডেকে নেন আসামি। পরে সেখানে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। শিশুটি চিৎকার দিয়ে ডাকাডাকি শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ওই তরুণ।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, পরে ২২ জুন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। ৫ বছর বয়সে শিশুটির মা এবং ১০ বছর বয়সে বাবা মারা যান। এরপর বাদী পটুয়াখালীর একটি সরকারি আবাসনে আশ্রয় নিয়ে তাঁকে লালনপালন করে আসছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারকের ছেলে হত্যা: লিমন ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় প্রবেশ করে তার ছেলেকে হত্যা এবং স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি লিমন মিয়ার (৩৪) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরো পড়ুন:
আশরাফুলের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন কোহিনূর: র্যাব
রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তিনি আরো জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাধীন লিমন মিয়াকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয়। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর থেকে তাকে আদালতের হাজতে রাখা হয়। দুপুর ২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত থেকে তাকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাচেষ্টার ঘটনার ব্যাপারে লিমন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার শহরের তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় আকস্মিক প্রবেশ করেন গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা লিমন মিয়া। এরপর তিনি বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৫) ছুরিকাঘাতে ও শ্বাসরোধে খুন করেন। লিমন মিয়ার ছুরিকাঘাতে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসি (৪৪) আহত হন। এ সময় ধ্বস্তাধ্বস্তিতে হামলাকারী লিমন মিয়াও আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিজে বাদী হয়ে লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। আসামি এ হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/বকুল