রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে ৯ বছর বয়সী এক বাকপ্রতিবন্ধী পথশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত গভীর রাতে ওই শিশুকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, কে বা কারা শিশুটিকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করেছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওসিসির সামনে অপেক্ষমান ওই শিশুর চাচা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে দাম্পত্য কলহের জের ধরে শিশুটির মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাবা আরেকটি বিয়ে করে তাহেরপুর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী পুঠিয়া উপজেলার সরগাছি উত্তরপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। শিশুটি তাহেরপুরে থেকে যায়। 

তিনি জানান, শিশুটিকে তারা বাড়িতে রাখার চেষ্টা করতেন। কিন্তু, সে কোনোভাবেই বাড়িতে থাকত না। তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। কোনো সময় অন্য মানুষের বাড়ির বারান্দায় বা সিএনজি স্ট্যান্ডে ঘুমিয়ে পড়ত। সোমবার দুপুরের পর শিশুটি তার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাত ১০টা হয়ে গেলেও সে ফিরে আসেনি। ফিরে না আসায় তিনি খোঁজ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাহেরপুর বাজারের লোকজন শিশুটিকে কলেজ গেটের পাশে বাগানে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় সে অচেতন ছিল এবং রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার মুখ দিয়ে নেশাদ্রব্যের দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এরপর তাকে দ্রুত বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন, শিশুটিকে সোমবার গভীর রাতেই বাগমারা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ভালো আছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। রক্তমাখা পোশাকসহ আলামত সংগ্রহ করেছি।  

তিনি বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী পথশিশুটি তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। এ সুযোগে কোনো বখাটে তাকে ধর্ষণ করেছে। তাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করার পর ধর্ষণ করা হয়েছে। এখনও শিশুটির পরিবার অভিযোগ দেয়নি। তবে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সাথে কে বা কারা যুক্ত, খুঁজে বের করে অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গম র

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে তিন বছরের শিশুকে হত্যায় সৎ মায়ের যাবজ্জীবন

নড়াইলের লোহাগড়ায় তিন বছরের এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে সৎ মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার আসামির উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ড পাওয়া জোবাইদা বেগম (২৫) উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামের সজীব কাজীর স্ত্রী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে সজীব কাজীর সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রী রুপা বেগমের বিচ্ছেদ হয়। এরপর সজীবের দুই সন্তান পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ইয়াসিন কাজী ও তিন বছর বয়সী মেয়ে নুসরাত জাহান রোজা দাদার (আবুল খায়ের) সঙ্গে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে সন্তানদের কথা চিন্তা করে সজীব কাজী দ্বিতীয় বিয়ে করেন জোবাইদা বেগমকে।

আরো পড়ুন:

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ ৩ জনের ফাঁসি

দাফনের আড়াই মাস পর কবর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উত্তোলন

২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে রোজাকে তার ভাই ইয়াসিন কাজী মারধর করলে সে কান্না শুরু করে। এরপর সৎ মা জোবাইদা বেগম তাকে ঘরের একটি কক্ষে নিয়ে যান। সে কান্না থামাচ্ছিল না দেখে জোবাইদা তার মুখ চেপে ধরেন, এতে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত রোজার দাদা আবুল খায়ের জোবাইদা বেগমকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বুধবার দুপুরে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/শরিফুল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হুমা কুরেশির ভাই খুন
  • ফ্রিজের বরফ দূর করার ৭টি সহজ উপায়
  • প্রথমে প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ, এরপর অনুসরণ করে ডাকাতি
  • এনবিআরের আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতি জানতে চেয়েছে সরকার
  • এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরবেন তামিম, থাকবেন মুশফিকুর-মাহমুদউল্লা
  • ‘তুমি কাজ করবে নাকি?’, একটা প্রশ্ন বদলে দিল জীবনের গল্প
  • কান দিয়ে পানি পড়লে কী সার্জারির দরকার আছে?
  • জন্মের পর হাসপাতালে নবজাতককে রেখে পালিয়ে যান দম্পতি, অতঃপর
  • নষ্ট করতে বলার পরও মোবাইল ফোন রেখে দিয়েছিলেন প্রেমিক, সেই ভুলে ফাঁস স্বামী খুনের রহস্য
  • নড়াইলে তিন বছরের শিশুকে হত্যায় সৎ মায়ের যাবজ্জীবন