এনবিআর ভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
Published: 26th, June 2025 GMT
টানা চতুর্থ দিনের মতো কলমবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। দুপুর ১২টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। তবে দুপুর থেকেই আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। কাউকে বের হতে কিংবা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা।
এই পরিস্থিতিতে এনবিআর কর্মকর্তা–কর্মচারীরা একাংশ বাইরে এবং আরেক অংশ ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। আজ বৃহস্পতিবার এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু কর্মকর্তারা এই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে আজও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সেই সঙ্গে ২৮ জুন সারা দেশের কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তর থেকে এনবিআর অভিমুখে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এনবিআর কর্মকর্তা–কার্মচারীরা।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
দেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশি টহল, নজরদারি বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমসিএবি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমসিএবি এই দাবি জানায়।
‘ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানসমূহে ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং সমগ্র দেশব্যাপী অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা পরিচালনার প্রতিবাদে’ এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারা দেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও এমসিএবির মনোনীত প্রতিনিধি সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। এই টাস্কফোর্স অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ছিনতাই-ডাকাতি হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া বা যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
এমসিএবির মহাসচিব গৌতম দে বলেন, ৫ আগস্টের পর মবের নামে সুযোগসন্ধানীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা জরুরি। একই সঙ্গে ছিনতাই ও ডাকাতি হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।