কৃষি ক্যাডারের তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
Published: 27th, June 2025 GMT
কৃষি ক্যাডারের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সাবেক উপপরিচালক (প্রশাসন) ও সদ্য মেহেরপুর হর্টিকালচার সেন্টারে বদলিকৃত ড.
মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ৩০ (ক), (খ), (গ) ও (ঘ) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩(ঙ)-এর আওতায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮–এর ধারা ৩৯(১) অনুযায়ী তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তাঁরা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাসহ আরও কিছু কর্মকর্তা গত ৫ আগস্টের পর থেকে নিজেদের ‘বিএনপিপন্থী পরিচয়’ তুলে ধরে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়ান। ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদের বদলির আদেশকে কেন্দ্র করে তাঁরা রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি, সংবাদ সম্মেলন এবং এমনকি সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করেন।
এই কর্মকর্তাদের একাংশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে বিশৃঙ্খল করে তোলে বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়। এতে সেখানে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই এই কর্মকর্তারা নতুন পদায়ন হওয়া একজনকে নানা হুমকি দেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে খামারবাড়ির অভ্যন্তরে স্বাভাবিক দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। একাধিক কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলন করে নিজের বদলি নিয়ে প্রকাশ্যে আপত্তি জানান। এতে সরকারি কর্মচারীদের নিরপেক্ষতা ও আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।
কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য ও দালিলিক প্রমাণ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলবে। বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মে জড়িত অন্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা রক্ষা ও দাফতরিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউই ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক পরিচয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনাকে অস্থিতিশীল করতে পারেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা উদাহরণস্বরূপ ব্যবহৃত হবে, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ প্রশাসনিক আদেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা না করেন।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বরখ স ত কর মকর ত ম হ ম মদ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে সভাপতি করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপন), জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ তিনটি নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে সাজানো প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে এসব নির্বাচন পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এতে দেশের আইনের শাসন গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার বিপণ্ন হয়েছে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দেশে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ফ্যাসিবাদ এবং কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনের আশঙ্কাকে প্রতিহত করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এ লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ