সফটওয়্যার কোম্পানির টাকায় যক্ষ্মা সম্মেলনে
Published: 15th, November 2025 GMT
আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিদেশি সফটওয়্যার কোম্পানির কাছে অর্থ চেয়েছে। ওই কোম্পানির সঙ্গে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লেনদেন আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ক্রয় আইনের লঙ্ঘন। চারজন বিদেশগামী প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁরা নিজের অর্থে সম্মেলনে যাচ্ছেন।
যক্ষ্মা ও ফুসফুসের রোগের আন্তর্জাতিক বার্ষিক সম্মেলন ইউনিয়ন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে। সম্মেলন শুরু হচ্ছে ১৮ নভেম্বর, শেষ হবে ২১ নভেম্বর। সারা বিশ্বের যক্ষ্মা ও ফুসফুসের রোগবিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সদ্য সাবেক উপপরিচালক জোবায়দা নাসরিন ভারতের সফটওয়্যার কোম্পানি কিউর এআই-কে ৫ অক্টোবর চিঠি দিয়ে অর্থসহায়তার অনুরোধ করেন। বর্তমানে তিনি যক্ষ্মা ও কুষ্ঠরোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপপরিচালক।
এটি স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়। যে কোম্পানির সঙ্গে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ব্যবসা আছে, তার কাছে অর্থসহায়তা চাওয়া অনৈতিক। এটা সরকারি ক্রয়বিধির পরিপন্থী। আইনের লঙ্ঘন। এটা ভবিষ্যৎ ক্রয়প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে। এটা গ্রহণযোগ্য না, শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবিচিঠিতে বলা হয়, কোম্পানিটি যেন যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পাঁচ কর্মকর্তাকে ওই সম্মেলনে যোগদান নিশ্চিত করতে অর্থসহায়তা দেয়। কোম্পানিটির কাছে অর্থসহায়তা বাবদ ২২ হাজার ২৭০ ডলারের (প্রায় ২৭ লাখ টাকা) একটি বাজেটও দেওয়া হয়।
সফটওয়্যার কোম্পানির কাছে পাঁচজনের একটি নামের তালিকা পাঠানো হয়। তাঁরা হচ্ছেন যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপপরিচালক মো.
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এর আগে ২০২১–২২ ও ২০২২–২৩ অর্থবছরে কিউর এআইয়ের কাছ থেকে সফটওয়্যার কিনেছে। এই সফটওয়্যার কেনা হয় গ্লোবাল ফান্ডের টাকায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সফটওয়্যার যক্ষ্মা শনাক্তের কাজে ব্যবহৃত হয়।
সংশ্লিষ্ট একজন সরকারি, তিনজন বেসরকারি ও একজন দাতা সংস্থার প্রতিনিধি প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, আরও সফটওয়্যার কেনার প্রক্রিয়া চলমান। কোন কোম্পানির কাছ থেকে তা কেনা হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। এরই মধ্যে একটি কোম্পানির কাছে অর্থসহায়তা চেয়ে জোবায়দা নাসরিনের এই চিঠি নানা সন্দেহ তৈরি করেছে।
তাঁরা কিছুই জানতেন নাযক্ষ্মা একটি সংক্রামক রোগউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সফটওয় য র ক ম প ন র চ লক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন নবীর বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী
ভারতের রাজধানী দিল্লির লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় গাড়িচালক উমর নবীর জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বাড়িটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বিস্ফোরণের ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী আজ শুক্রবার বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার ভোরের মধ্যে সন্দেহভাজন চালক উমরের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শেষ করা হয়েছে।
দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত চলার মধ্যে কাশ্মীর, হরিয়ানা, দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের একাধিক সংস্থা তথ্যের সূত্রগুলো মেলাতে কাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের একজন মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক এবং একজন ছাত্রসহ আরও দুজনকে উত্তর প্রদেশ থেকে আটক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মোদি সরকার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির সব নথিপত্রের ফরেনসিক নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারের দাবি, লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বা কাজ করতেন।
দিল্লি পুলিশ লাল কেলার কাছে বিস্ফোরিত হওয়া গাড়িটির চালক উমর নবীর শেষ কয়েক ঘণ্টার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে। ৫০টির বেশি সিসিটিভি ফুটেজ ব্যবহার করে তাঁর গতিবিধি চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
উত্তর প্রদেশসহ ভারতের বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্যে এমনকি কেন্দ্রীয় মোদি সরকার নানা অজুহাতে মুসলিমদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন মুসলিমদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় মোদি সরকার।