ছায়ানট কমিটির পুনর্বিন্যাস, সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী
Published: 28th, June 2025 GMT
ছায়ানটের কার্যনির্বাহী সংসদ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলীকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুনের প্রয়াণের পরবর্তী প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় কার্যনির্বাহী সংসদ পুনর্বিন্যাস হয়েছে। নুরুন্নাহার আবেদীন ও সন্জীদা খাতুনের প্রয়াণের পর ছায়ানটের ট্রাস্টি বোর্ড তাঁদের শূন্য পদে সাঈদা কামাল ও রুচিরা তাবাস্সুম নভেদ্কে ট্রাস্টি নির্বাচন করেছে।
এতে বলা হয়, সভায় বাঙালি জাতিসত্ত্বা হৃদয়ে ধারণ করে সহিষ্ণু সম্প্রীতির সমাজ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়। গুরুত্ব আরোপ করা হয় আবহমান বাংলা গানের নিখুঁতরূপ চর্চায় গতিবেগ সঞ্চার ও বিস্তৃতির ওপর। সভা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
পুনর্বিন্যস্ত ছায়ানট কার্যকরী সংসদ
সভাপতি: ডা.
সহ-সভাপতি: খায়রুল আনম শাকিল ও পার্থ তানভীর নভেদ্
সাধারণ সম্পাদক: লাইসা আহমদ লিসা
যুগ্ম-সম্পাদক: জয়ন্ত রায় ও তানিয়া মান্নান
কোষাধ্যক্ষ: নাসেহুন আমীন
সদস্য: মফিদুল হক, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নাহাস খলিল, আমিনুল ইসলাম দীপু, সাহানা আক্তার রহমান পাপড়ি, মাসুদা নার্গিস আনাম কল্পনা, জুবায়ের ইউসুফ, গৌতম সরকার, জেসমিন বুলি ও সেমন্তী মঞ্জরী
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’
প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।