চার দিন পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও কমেছে।
শনিবার (২৮ জুন) রাত ৯টায় দাম কমিয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রবিবার (২৯ জুন) থেকে কার্যকর হবে।
বাজুসের নতুন দাম অনুযায়ী, রবিবার থেকে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৬২৪ টাকা কমে এক লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকায় বিক্রি হবে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম এক লাখ ৬২ হাজার ৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম এক লাখ ৩৯ হাজার ৭৫৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৫ হাজার ১৭০ টাকায় বিক্রি হবে।
গত ২৫ মে থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ এক লাখ ৭২ হাজার ৮৬০ টাকা, ২১ ক্যারেট এক লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ প্রতি ভরি এক লাখ ১৭ হাজার দুই টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজুস জানিয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই নতুন দাম দেশের সব জুয়েলারি দোকানে কার্যকর থাকবে। তবে বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত পাঁচ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ছয় শতাংশ মজুরি যোগ হবে। গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির পরিমাণে পরিবর্তন হতে পারে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র দ ম নত ন দ ম এক ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।