Prothomalo:
2025-08-13@18:41:02 GMT

ভবন যখন বুদ্ধিমান

Published: 29th, June 2025 GMT

নানা ধরনের স্মার্ট টুলসের ব্যবহার

স্মার্ট ভবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তিগত টুলসগুলোকে আমরা ভবনের প্রাণ বলতে পারি। আলোক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। সূর্যের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহারকে নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভবনে একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ রাখা হয়। এ ছাড়া স্মার্ট আলোব্যবস্থায় এলইডি লাইটিং, ডেলাইট হার্ভেস্টিংসহ বিভিন্ন সেন্সর ব্যবহার করা হয়।

স্মার্ট এইচভিএসি সিস্টেম ব্যবহার করা হয় এখন। ঐতিহ্যবাহী এসি ব্যবস্থার তুলনায় স্মার্ট এইচভিএসি সিস্টেম তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা পরিমাপের জন্য সেন্সর ব্যবহার করে। 

ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) যন্ত্রের ব্যবহার করা হয় এখন। আইওটি যন্ত্রগুলো ভবনের বিভিন্ন সেন্সর এবং যন্ত্রকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত করে। এটি রিয়েল-টাইম ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের সুবিধা দেয়। এতে ভবনের কর্মক্ষমতা নিরীক্ষণ করা যায় কার্যকরভাবে। একটি স্মার্ট ভবনে সংযুক্ত ক্যামেরা, স্মোক ডিটেক্টর, দরজা-জানালার সেন্সর থাকে। এসব আইওটি নেটওয়ার্কের অংশ।

এখন বিভিন্ন ভবনে বিল্ডিং অটোমেশন সিস্টেম (বিএএস) ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থা স্মার্ট ভবনের মস্তিষ্কস্বরূপ। এর মাধ্যমে ভবনের প্রতিটি উপাদান একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে ও সামগ্রিক কর্মক্ষমতাকে অপ্টিমাইজ করতে পারে।

শক্তি সাশ্রয় ও পরিবেশগত প্রভাব

স্মার্ট ভবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর শক্তি সাশ্রয়ী বৈশিষ্ট্য। স্মার্ট সিস্টেম ঐতিহ্যবাহী ভবনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শক্তি সাশ্রয় করতে পারে। ডেটা বিশ্লেষণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে ভবনের শক্তি খরচ প্যাটার্ন বোঝা যায়। সে অনুযায়ী অপচয় রোধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এটি শুধু বিদ্যুৎ বিলই কমায় না, কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতেও সহায়তা করে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তাবলয়

স্মার্ট ভবনগুলোর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল অনেক উন্নত। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ধোঁয়া শনাক্তকরণ ও এবং স্বয়ংক্রিয় স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলোর চেয়ে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজ করে। কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফায়ার অ্যালার্ম বাজানো, নির্দিষ্ট অঞ্চলের দরজা লক করা, বায়ু চলাচল সিস্টেম বন্ধ করা যায়। 

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা

স্মার্ট ভবন নির্মাণে প্রাথমিক বিনিয়োগ কিছুটা বেশি মনে করেন অনেকে। দীর্ঘ মেয়াদে এ ধরনের ভবন শক্তি সাশ্রয়, উন্নত নিরাপত্তা ও উন্নত জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করে। আধুনিক ও নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য স্মার্ট ভবন এখন বলা যায় সময়ের দাবি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত, টেকসই রাখতে স্থাপত্য, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তির অসাধারণ মেলবন্ধন প্রয়োজন। সেই দিকেই আমাদের কাজ করতে হবে। 

মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ
স্থপতি। প্রতিষ্ঠাতা, ভলিউমজিরো লিমিটেড

ই–মেইল: [email protected]

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ব যবহ র কর স ম র ট ভবন ব যবস থ ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’

প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।

নতুন কুঁড়ির এ ছবিটি অভিনেত্রী শাওন ফেসবুকে শেয়ার করেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ