স্নোটেক্স আউটারওয়্যার পেল জাতীয় পরিবেশ পদক
Published: 29th, June 2025 GMT
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২৪’ পেয়েছে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড। পরিবেশবান্ধব ইটিপি ও জিরো ওয়েস্ট জেনারেশনের লক্ষ্যে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ স্নোটেক্সকে এ পদক দেওয়া হয়।
গত বুধবার বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পদক দেওয়া হয়। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেডের ডিরেক্টর (অপারেশন) মো.
পরিবেশ পদক পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্রমাগত ভূমিক্ষয় ও অন্যান্য ক্ষতি থেকে প্রাণ-প্রতিবেশকে বাঁচাতেই পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণে আমরা মনোযোগ দিয়েছি। যার স্বীকৃতি হিসেবে এ অর্জন।’
স্নোটেক্স গ্রুপের ডিরেক্টর (গ্রুপ অপারেশন) মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আসলে পুরস্কার পাওয়ার জন্য নয়, দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ উপযোগী করেই আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছি। তবে পদক পাওয়া সত্যিই আমাদের কাছে অসামান্য অর্জন। ভবিষ্যতেও আমাদের যেকোনো যাত্রা প্রাণ-প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই হবে।’
দেশের অন্যতম তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তাননিকারক স্নোটেক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড ঢাকার অদূরে ধামরাই উপজেলার ঢুলিভিটার লাকুরিয়া পাড়ায় অবস্থিত। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির জনবল ৯ হাজারের বেশি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।