মেক্সিকোতে বর্ষবরণ, রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী ও ঈদ পুনমির্লনী
Published: 30th, June 2025 GMT
কবিতা, গান ও উৎসবে মেক্সিকোর বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত হয়েছে বর্ষবরণ, রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী ও ঈদ পুনমির্লনী।
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রবিবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ দূতাবাস, মেক্সিকো সিটি আয়োজন করেছে এক অনন্য সাংস্কৃতিক সম্মিলনের, যেখানে একত্রে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী, পাশাপাশি ঈদুল আজহা পরবর্তী পুনর্মিলনী।
দূতাবাসের এই বিশেষ আয়োজনে মেক্সিকো প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সূচনাপর্বে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কবিতা ‘১৪০০ সাল’ আবৃত্তি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ পাঠ করে উপস্থিত সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন। তার কাব্যিক উপস্থাপনা অনুষ্ঠানকে দেয় এক ভিন্ন মাত্রা।
সাংস্কৃতিক পর্বের বিশেষ আকর্ষণ ছিল দুই ক্ষুদে শিল্পীর মনোমুগ্ধকর বাংলা গান পরিবেশনা।
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল বাংলাদেশ-মেক্সিকো কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দূতাবাসের উদ্যোগে আগামী দিনে আয়োজিতব্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেন এবং উপস্থিত সকলকে এসব আয়োজনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও মিষ্টান্ন দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণকে সাজানো হয়েছিল বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির রূপে, যা উপস্থিত সবার মধ্যে বাংলাদেশের একটি আবহ সৃষ্টি করে।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে রাষ্ট্রদূত বলেন, “প্রবাসে বসবাস করেও আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে চলেছি। এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমরা ল্যাটিন আমেরিকায় বেড়ে ওঠা প্রজন্মের মাঝে বাংলার চেতনা ও মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন র স রব ন দ র উপস থ ত নজর ল
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধের তালিকা প্রকাশ
২০২৬ সালে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ২৮ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর প্রথম সরকারি ছুটির দিন হবে শবে-বরাত উপলক্ষ্যে। ৪ ফেব্রুয়ারি একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ওই মাসে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর শবে কদর উপলক্ষে ১৭ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে। জুমাতুল বিদা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
চৈত্র সংক্রান্তি (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলার জন্য প্রযোজ্য) ১৩ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল, মে দিবস ও বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১ মে, ২৬ থেকে ৩১ মে পাঁচদিন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
এদিকে, আশুরা উপলক্ষ্যে ২৬ জুন, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে একদিন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্ট, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ২৬ আগস্ট, জন্মাষ্টমী ৪ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২০ ও ২১ অক্টোবর, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর, বড়দিন উপলক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের ৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এ ছুটি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, চলতি বছর দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৭ দিন, আগের বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৪ দিন।
ঢাকা/নাজমুল//