চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নাম পরিবর্তন করে ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’ নামকরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় চাকসু ভবনে এ নাম টানিয়ে দেন চবি সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, চাকসু ভবনের প্রধান ফটকের উপরে লেখা নামের উপর ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দিচ্ছেন দুইজন শিক্ষার্থী। ব্যানারে ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’ নামের নিচে ছোট করে লেখা ‘এখানে মুলার তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়া যায়’।

আরো পড়ুন:

কুবিতে র‍্যাগিং রোধে প্রক্টর অফিসের জরুরি নির্দেশনা

ইবির সেই শিক্ষককে অপসারণ 

এ বিষয়ে চবি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির আহ্বায়ক ও রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাঈন উদ্দিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান চাকসু। কিন্তু বিগত ৩৬ বছর ধরে সেটি অচল অবস্থায় রয়েছে।”

তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকে চবি সংস্কার আন্দোলন ব্যানারে প্রায় প্রতিটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন একত্রে ও পৃথকভাবে প্রশাসনকে চাকসু নির্বাচন দেওয়ার জন্য তাগিদ দিয়ে এসেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেসবে কর্ণপাত না করে চাকসু নির্বাচন দেওয়ার এখনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি।”

তিনি আরো বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান চাকসুকে দীর্ঘদিন ধরে শুধু ভাত-তরকারির হোটেল আর বিয়ের অনুষ্ঠানের কেন্দ্র বানিয়ে রাখা হয়েছে। সেজন্য আমরা প্রতিবাদের একটা ভাষা হিসেবে চাকসু ভবনের এই ব্যতিক্রমী নামকরণ করেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত, যেদিন চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে, সেদিনই আমরা এই স্টিকার তুলে নেব।”

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, “বিগত ৩৬ বছরে চাকসু ভবন তার আসল নামে ফিরে এসেছে। যে ক্যাম্পাসে ৩৬ বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না, সেখানে চাকসু ভবন নামে কোনো ভবন থাকার যোগ্যতা থাকে না।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চাকসুর নাম ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নাম পরিবর্তন করে ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’ নামকরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় চাকসু ভবনে এ নাম টানিয়ে দেন চবি সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, চাকসু ভবনের প্রধান ফটকের উপরে লেখা নামের উপর ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দিচ্ছেন দুইজন শিক্ষার্থী। ব্যানারে ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’ নামের নিচে ছোট করে লেখা ‘এখানে মুলার তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়া যায়’।

আরো পড়ুন:

কুবিতে র‍্যাগিং রোধে প্রক্টর অফিসের জরুরি নির্দেশনা

ইবির সেই শিক্ষককে অপসারণ 

এ বিষয়ে চবি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির আহ্বায়ক ও রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাঈন উদ্দিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান চাকসু। কিন্তু বিগত ৩৬ বছর ধরে সেটি অচল অবস্থায় রয়েছে।”

তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকে চবি সংস্কার আন্দোলন ব্যানারে প্রায় প্রতিটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন একত্রে ও পৃথকভাবে প্রশাসনকে চাকসু নির্বাচন দেওয়ার জন্য তাগিদ দিয়ে এসেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেসবে কর্ণপাত না করে চাকসু নির্বাচন দেওয়ার এখনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি।”

তিনি আরো বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান চাকসুকে দীর্ঘদিন ধরে শুধু ভাত-তরকারির হোটেল আর বিয়ের অনুষ্ঠানের কেন্দ্র বানিয়ে রাখা হয়েছে। সেজন্য আমরা প্রতিবাদের একটা ভাষা হিসেবে চাকসু ভবনের এই ব্যতিক্রমী নামকরণ করেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত, যেদিন চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে, সেদিনই আমরা এই স্টিকার তুলে নেব।”

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, “বিগত ৩৬ বছরে চাকসু ভবন তার আসল নামে ফিরে এসেছে। যে ক্যাম্পাসে ৩৬ বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না, সেখানে চাকসু ভবন নামে কোনো ভবন থাকার যোগ্যতা থাকে না।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ