‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালির প্রথম সংসার কেন ভেঙেছিল?
Published: 1st, July 2025 GMT
‘কাঁটা লাগা গার্ল’খ্যাত তারকা অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা। গত ২৭ জুন মারা যান তিনি। মাত্র ৪২ বছর বয়সে শেফালির মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না। ফলে তাকে নিয়ে আলোচনা থামছেই না।
অল্প বয়সে তারকা খ্যাতি কুড়ানোর পর সংগীত পরিচালক হরমিত সিংহের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান শেফালি। ২০০৪ সালে হরমিতের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই অভিনেত্রী। কিন্তু এ সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। ২০০৯ সালে হরমিতের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় শেফালির। কিন্তু এই সংসার কেন ভেঙেছিল? ২০২১ সালে টাইমস নাউকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছিলেন এই অভিনেত্রী।
প্রথম স্বামী হরমিতের সঙ্গে শেফালি জারিওয়ালা
সংসার ভাঙার বিষয়ে শেফালি জারিওয়ালা বলেছিলেন, “আপনাকে কেউ মূল্যায়ন করছে না—এটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্যাতন কেবল শারীরিকভাবেই করা হয় না। অনেক মানসিক নির্যাতনও রয়েছে, যা ঘটলে আপনি জীবনে খুবই অসুখী হবেন। আমার মনে হয়, নিজের জন্য এই সিদ্ধান্ত (ডিভোর্স) নেওয়ার এটি অন্যতম একটি কারণ।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে শেফালি জারিওয়ালা বলেছিলেন, “আমি স্বাধীন ছিলাম, নিজে অর্থ উপার্জন করছিলাম। আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় ভয় সমাজ। বিবাহবিচ্ছেদকে নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়! কিন্তু আমি যেভাবে বড় হয়েছি, তা হলো সমাজের কথা চিন্তা না করে, আমরা যা সঠিক মনে করি তা করা। আমি আমার জীবনে এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পেরেছিলাম এবং আমার দৃঢ় সমর্থন ছিল।”
শেফালি জারিওয়ালা
যেসব নারীরা দাম্পত্য জীবনে সুখী নন, তাদের উদ্দেশ্যে শেফালি বলেছিলেন, “নারীদের উপলদ্ধি করতে হবে, সত্যি তারা স্বাধীন হতে চায় এবং পরিস্থিতি বুঝতে হবে। কখনো কখনো নারীরা বছরের পর বছর বুঝতে পারে না, তারা সুখী দাম্পত্য জীবনযাপন করছে না।”
প্রচলিত আইনের কথা উল্লেখ করে শেফালি জারিওয়ালা বলেছিলেন, “পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারে। আমাদের দুর্দান্ত আইনজীবী আছেন। দেশের আইন অনেক উপায়ে নারীদের রক্ষা করে। তাদের পরামর্শ নিতে হবে এবং শক্তিশালী হতে হবে। নারীদের নিজস্ব একটি সাপোর্ট সিস্টেম থাকা উচিত, জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
ভালোবেসে ঘর বাঁধলেও হরমিতের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা থানায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন শেফালি। পরবর্তীতে আইনিভাবে আলাদা হয়ে যান এই দম্পতি। হরমিতের সঙ্গে প্রথম সংসার ভাঙার পর প্রায় পাঁচ বছর সিঙ্গেল ছিলেন শেফালি। পরে কমন এক বন্ধুর মাধ্যমে এক ডিনার পার্টিতে পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে পরিচয় হয় এই অভিনেত্রীর।
দ্বিতীয় স্বামী পরাগের সঙ্গে শেফালি জারিওয়ালা
পরাগের সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়ে শেফালি বলেছিলেন, “আমি তখন সিঙ্গেল ছিলাম। এটা ছিল একটা সাজানো ডেট। আমরা একে অপরকে সত্যিই খুব পছন্দ করতাম। তাৎক্ষণিকভাবে ভালোবেসে ফেলি। পরাগ আর আমি অনেক দিক থেকে একই। যদিও কিছু বিষয়ে আলাদা। আমার মনে হয়, আমরা একে অপরের ভারসাম্য বজায় রাখি।”
২০১২ সালে ‘নাচ বালিয়ে’-এর সেটে শেফালিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন পরাগ ত্যাগী। কিন্তু তার কয়েক বছর আগে থেকেই তারা সম্পর্কে ছিলেন। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন শেফালি-পরাগ। এ দম্পতির কোনো সন্তান নেই। তবে সন্তান দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন শেফালি। যদিও তার আগেই সবকিছু শেষ হয়ে গেল!
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিবসে কাঙালিভোজের আয়োজন, ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড নয়াপাড়া হাজীবাড়ী গ্রাম থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিবস উপলক্ষে কাঙালিভোজের আয়োজনের সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. রাতুল (২৪) নয়াপাড়া হাজীবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়লের সঙ্গে রাজনীতি করতেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা ছিল।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মনি বলেন, বিশাল আয়োজন করে রাতুল নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর বাড়িতে শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে খিচুড়ি রান্না করা হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আবদুল বারিক বলেন, রাতুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তাঁর নামে একটি মামলা ছিল। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে খিচুড়ি রান্নার বিষয়টি তিনি জানেন না।