নরসিংদীতে ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
Published: 1st, July 2025 GMT
নরসিংদীতে ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মিনহাজুল আবেদীন ওরফে রিজভী (৩২) নামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দী এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিনহাজুল আবেদীন নরসিংদীর শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দীর বীরপুর মসজিদসংলগ্ন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
তবে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। যে বাসায় হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেটি সম্প্রতি তৈয়বুর রহমান নামের এক যুবক ভাড়া নিয়েছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের দুই বন্ধু মিনহাজুল আবেদীন এবং তৈয়বুর রহমানের বাড়ি রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায় খলাপাড়া গ্রামে। ওই এলাকায় ডিশের ব্যবসা একসময় যৌথভাবে করতেন দুজন। একপর্যায়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে তৈয়বকে ব্যবসা থেকে বের করে দেন মিনহাজুল। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মিনহাজুলকে সরিয়ে ওই ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন তৈয়ব। মিনহাজুল ওই ব্যবসায় আবার ফিরতে চাইলে আলোচনার নামে গতকাল রাতে তৈয়বের ওই ভাড়ার বাসায় তাঁকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। মিনহাজুল ও তৈয়বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে।
নরসিংদী শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দী এলাকার এই গলিতে পড়ে থাকে মিনহাজুল আবেদীন রিজভীর লাশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: সাভারে বিএনপির আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করার পর ঢাকার ধামরাইয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া এলাকায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে মিছিল করেন তারা। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে এ রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে: নাহিদ
শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘‘আমরা মনে করি এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা এ বিচারকার্যের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা সেই মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যে ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য আমরা ১৫-১৬ বছর অপেক্ষা করেছি। আমরা শুধু এ রায়েই ক্ষান্ত হবো না।’’ অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে রায় কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি।
পরে তারা সাধারণ জনগণের কাছে মিষ্টি বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাসুদ আল শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইমান আলী, ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। এতে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল