রাজধানীর চকবাজারে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মোর্শেদ আলম তানিম (১৮)। আজ বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আরমানিটোলার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, গত সোমবার রাতে চকবাজারের মাক্কু শাহ মাজার এলাকায় মোর্শেদ আলম মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে মুঠোফোনটি নিতে পারেনি। তবে তারা পালিয়ে যায়।

মোর্শেদ আলমের বাবা ফিরোজ আলম বলেন, তাঁরা থাকেন আরমানিটোলা এলাকায়। ঘটনার দিন রাতে মোর্শেদ আলম বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে মাক্কু শাহ মাজার এলাকায় যান। বাসায় ফেরার পথে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন মোর্শেদ আলম। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাঁকে ছুরিকাঘাতের পর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই দিন রাতেই তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর অবস্থার অবনতি হলে আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ ম র শ দ আলম

এছাড়াও পড়ুন:

শহরাঞ্চলে স্যানিটারি টয়লেট ব্যবহার অনেকাংশে বেড়েছে

শহরাঞ্চলের সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকায় গত পাঁচ বছরে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে স্যানিটারি টয়লেট ব্যবহারের হার ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে। পাশাপাশি নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা এবং মাতৃ স্বাস্থ্যসেবাসহ আরও কিছু ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে সংস্থাটি আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

কর্মশালায় ব্র্যাকের পাঁচ বছর মেয়াদি ‘স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেবার জন্য সমন্বিত পুনর্বাসন কর্মসূচি’-এর তথ্য-উপাত্ত এবং নীতিগত সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এবং সৈয়দপুর পৌরসভায় অবস্থিত নিম্ন আয়ের নগর বসতিগুলোতে বাস্তবায়িত এই কর্মসূচিটি অর্থায়ন করে কিং আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইএসডিবি)। 

কর্মশালায় জানানো হয়, গত পাঁচ বছরে এসব এলাকায় নিরাপদ পানি ব্যবহার ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। নারীদের মধ্যে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের হার ৫৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০ শতাংশ। অন্তত চারবার প্রসব-পূর্ব সেবা গ্রহণের হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশে। প্রসব-পরবর্তী সেবা নেওয়ার হার ২১ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া ৯৪ শতাংশ পরিবার বর্তমানে তাদের খাবার পানি ঢেকে রাখে এবং এই এলাকাগুলোতে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ শতাংশ।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি, নগর উন্নয়ন কর্মসূচি ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. লিয়াকত আলী, কিং আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রামের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি আরিফ শহীদ, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক ডা. শায়লা ইসলাম, ডিএনসিসির জোন-২ এর জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার জিয়াউর রহমান, জোন-৫ এর জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার এ এন এম বদরুদ্দোজা, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান এবং সৈয়দপুর পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক নুর-ই-আলম সিদ্দিকী। জনস্বাস্থ্য নীতি, পরিকল্পনা ও গবেষণা বিশেষজ্ঞ এবং ভালো অ্যাভান্ট-গার্ড লিমিটেডের এমডি ডা. নাজনীন আখতার জাতীয় নগর স্বাস্থ্য ও ওয়াশ পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশদ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান ইমামুল আজম শাহী একটি মুক্ত আলোচনা-পর্ব পরিচালনা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ