মুঠোফোন ও নকল নিয়ে পরীক্ষা, বারহাট্টায় ১০ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার
Published: 3rd, July 2025 GMT
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় মুঠোফোন ও নকল নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ১০ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত ছয়জন কক্ষ পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বারহাট্টা করোনেশন কৃষ্ণ প্রসাদ (সিকেপি) সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে। বহিষ্কৃত ১০ জন শিক্ষার্থী বারহাট্টা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। তাঁরা চলতি বছর আর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
পরীক্ষাকেন্দ্র ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিকেপি সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ৯ জন শিক্ষার্থী হলে মুঠোফোন নিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা মুঠোফোন দেখে নকল করছিলেন। অন্যদিকে আরেকজন শিক্ষার্থী হাতে লেখা নকল নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব বারহাট্টা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল ওয়াদুদের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ইউএনও মো. খবিরুল আহসান বলেন, নকল করার অপরাধে ১০ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সময় ৯ জনের মুঠোফোন জব্দ করা হয়। পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করা ছয়জন কক্ষ পরিদর্শককেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীরা এ বছর আর পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জন শ ক ষ র থ পর ক ষ র থ ব রহ ট ট র পর ক ষ সরক র ১০ জন
এছাড়াও পড়ুন:
মাদ্রাসার বরাদ্দের দুম্বার মাংস ছিনতাইয়ের অভিযোগ
সৌদি আরব থেকে মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য পাঠানো দুম্বার মাংস ছিনতাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইকারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনো।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা পরিষদের মসজিদের পাশে এ ছিনতাই হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাড়াশ উপজেলার ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য ১৬৪ কার্টন দুম্বার মাংস বরাদ্দ দেওয়া হয়। বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সেই মাংস বিতরণের খবর পেয়ে শত শত মানুষ ভিড় জমান। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহানের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দুই দিনের সরকারি প্রশিক্ষণ থাকায় উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত উপস্থিত হন। তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু ছাঈদ মল্লিককে সঙ্গে নিয়ে পুলিশি পাহারায় মাংস বিতরণ শুরু করেন। বরাদ্দের তালিকা অনুযায়ী সদর ইউনিয়নের মথুরাপুর মহিলা মাদ্রাসার পক্ষে শিক্ষক সুলতান মাহমুদ এক কার্টন দুম্বার মাংস বুঝে নেন। পরে এ মাংস নিয়ে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মসজিদের রাস্তায় গেলে ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন মিলে তাকে আটকে মাংসের কার্টন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন।
শিক্ষক সুলতান মাহমুদ বলেছেন, দুস্থদের হক এভাবে মানুষ ছিনতাই করে নিয়ে যাবে, কখনো ভাবিনি। তবে, আমি কাউকে চিনতে পারিনি। এর বিচার আল্লাহ করবেন।
মাংস বিতরণকালে দায়িত্বে থাকা তাড়াশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, দুম্বার মাংস বিতরণকালে কোনো প্রকার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। বিতরণের সময় উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত বলেছেন, ছিনতাইয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/অদিত্য/রফিক